নুরুল ইসলাম সুমন, চকরিয়া (প্রতিনিধি) কক্সবাজার
কক্সবাজার -১(চকরিয়া – পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমকে ৭ মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গত ৫ আগষ্টের পটপরিবর্তনের পর চকরিয়ায় ৫টি ও পেকুয়ায় হত্যা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৭টি মামলা দায়ের করা হয়। একাধিক হত্যাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনের এসব মামলায় তাকে অ্যারেস্ট দেখানো হয়। আজ সেসব মামলার শুনানি করা হয় ।
আজ বুধবার সকালে যৌথ বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে তাঁকে কক্সবাজার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে এনে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করেন। এ সময় আদালতের বিচারক মো. আনোয়ারুল কবির শুনানী শেষে ৭ মামলায় সর্বমোট ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তন্মধ্যে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব মামলায় সর্বোচ্চ চারদিন ও সর্বনিম্ন ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আদালতে শুনানী চলাকালে জাফর আলমের পক্ষে বেশ কয়েকজন আইনজীবী শুনানীতে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে তথা জাফর আলমের বিপক্ষে শুনানীতে অংশ নেন আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট মো. মঈন উদ্দিন।
এদিকে, জাফর আলমকে আদালতে আনার খবরে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে থানা রাস্তার মাথা এলাকায় জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সেখানে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা। সমাবেশে বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক, চকরিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুদ্দিন ফরায়জী। সমাবেশ থেকে জাফর আলমের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
ঐদিকে,জাফর আলমকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে দাবি করে এর প্রতিবাদে ঝটিকা মিছিল করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার মগবাজার এলাকায় তাঁরা ঝটিকা মিছিল করেন। এতে নেতৃত্ব দেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন,
পরিশেষে, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ১৪ দিনের রিমান্ডের জন্য সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমকে চকরিয়া আদালত থেকে চকরিয়া থানায় আনা হয়েছে। রিমান্ড শেষ হলে তাঁকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হবে।