রাফিউল ইসলাম (রাব্বি) স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর:
২০১৯ সালে সদ্য ঘোষিত এমপিওভুক্তির তালিকায় রংপুর জেলায় ৪০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থান হয়েছে। এমপিওভুক্তির সংবাদে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে আনন্দের হাওয়া বইছে।
জানা গেছে, দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রংপুরের সাতটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১২টি উচ্চ বিদ্যালয়, দুইটি ডিগ্রি কলেজ, দুইটি দাখিল মাদরাসা, দুইটি আলিম মাদরাসা, একটি কামিল মাদরাসাসহ মোট ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- রংপুর সদর উপজেলার নাজির দিঘর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সোনার চাঁন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জানকি ধাপেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, লায়ন্স স্কুল এ্যান্ড কলেজ, আরসিসিআই পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ, জাহেদা খাতুন গালর্স স্কুল এ্যান্ড কলেজ, রংপুর সিটি কলেজ, সাহেবগঞ্জ টেকনিক্যাল এ্যান্ড বিএম কলেজ, মুলাটোল মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসা, বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মধুপুর আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়, রোস্তমাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, চান্দামারি উচ্চ বিদ্যালয়, ভিআইপি শাহাদৎ হোসেন কলেজ ও ওয়ারেছিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা। তারাগঞ্জ উপজেলার হাতিবান্ধা উচ্চ বিদ্যালয়, তারাগঞ্জ কারিগরী ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা কলেজ, গঙ্গাচড়া উপজেলার তালুকভুবন বকশীগঞ্জ নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তুলশীরহাট উচ্চ বিদ্যালয়, সাউদপাড়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা ও গঙ্গাচড়া মহিলা কলেজ। পীরগাছা উপজেলার মহিশাকুড়ি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মকররমপুর উচ্চ বিদ্যালয়, রাজবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, পাওটানাহাট বালিকা দাখিল মাদরাসা, খাদিজা আবেদীন চৌধুরানী কলেজ, খন্দকার আব্দুল করিম মিয়া বিএম কলেজ ও রহিম উদ্দিন ভরসা ডিগ্রী মহিলা কলেজ। কাউনিয়ার উপজেলার শিবু নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পাটোয়ারিটারি দাখিল মাদরাসা। মিঠাপুকুর উপজেলার আদারহাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, শীতলগাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়, শেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালপুর ড. এমআর মহিলা টেকনিক্যাল এ্যন্ড বিএম কলেজ, পীরগঞ্জ উপজেলার ছোট মির্জাপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাদিরাবাদ দ্বি-মুখি ভোকেশনাল উচ্চ বিদ্যালয়, শানেরহাট কেজে ইসলাম বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ ও ভেন্ডাবাড়ি মহিলা কলেজ।
এমপিওভুক্তির বিষয়ে রংপুর আরসিসিআই পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মশিউর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এমপিওবিহীন ছিলাম। সরকার এমপিও দেয়ায় আমিসহ আমার প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক আনন্দিত। এজন্য প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের কৃতজ্ঞতা জানাই।
নাজিরদিঘর উচ্চ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আকতারুজ্জামান ভুট্টু বলেন, নগরীর শিক্ষা বঞ্চিত নাজিরদিঘর ও বনগ্রামে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী মরহুম এমদাদুল হক বাদল ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছিলেন। এমপিভুক্তি হওয়াতে আমরা আনন্দিত। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ৩৫০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
গঙ্গাচড়া মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক কাজী রাজিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনের ফসল হিসেবে গঙ্গাচড়া মহিলা কলেজ এমপিওভুক্ত হওয়ায় আমরা আনন্দিত। এই সরকার প্রধান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।