প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
১৯৭১ সনের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে প্রকাশিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী পত্রিকা দৈনিক আজাদীর সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব এম.এ মালেক,বার্তা সম্পাদক দিবাকর ঘোষ এবং রিপোর্টার জাহেদুল কবির সহ ৩ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রজু করায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ পূর্বক প্রতিবাদ জানিয়াছেন মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন-বিএইচআরএফ এর চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি এডঃ জিয়া হাবীব আহসান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এডঃ এ.এইচ.এম জসিমউদ্দীন সহ-৭৪ জন বিশিষ্ট মানবাধিকার আইনজীবী।
যথাযথ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দৈনিক আজাদী সহ একাধিক পত্রিকায় ৫০টি প্রতিষ্ঠানের ১২৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাকির সংবাদ জনস্বার্থে প্রকাশ করা হলেও শুধুমাত্র দৈনিক আজাদীর সম্পাদক ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় বিবৃতিদাতারা উৎকন্ঠা প্রকাশ করে বলেন, এ ঘটনা নজিরবিহীন এবং তথ্য অধিকার আইন ও জনগণের মত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকারের প্রতি হুমকি। এটি মানহানি মামলার আওতাভুক্ত কোন সংবাদ নয়, বিবৃতিদাতারা আরও বলেন, জনৈক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ কর্তৃক চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের অধিকার, স্বাধীনসত্তা ও স্বাধীনতার পত্রিকা মরহুম মগফুর ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক কর্তৃক ৬০ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত দৈনিক আজাদীর সম্পাদক ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়েরর ঘটনা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় নগ্ন হস্তক্ষেপণের শামিল। কোন ধরনের প্রতিবাদ না পাঠিয়ে, প্রেস কাউন্সিল কিংবা জেলা প্রশাসনে কোন রূপ অভিযোগ দায়ের না করে সরাসরি ২১/১০/১৯ ইং বিজ্ঞ এম.এম-৩ (তিন) নং আদালতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় প্রমাণ করে যে, বাদীর উদ্দেশ্যে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানি করা।বিবৃতিদাতারা অবিলম্বে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। নচেৎ সংবাদপত্রের ও সাংবাদিকদের পেশাগত স্বাধীনতা রক্ষার আইনী লড়াইয়ে মানবাধিকার আইনজীবীগণ মজলুম সাংবাদিকদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বিবৃতিদাতা মানবাধিকার আইনজীবীগণ হলেন যথাক্রমে এডঃ আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, এডঃ পরেশচন্দ্র দাশ, এডঃ মোহাম্মদ আবুল খায়ের, এডঃ আলহাজ্ব আব্দুল ছাত্তার, এডঃ আনোয়ার আলী, এডঃ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, এডঃ সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন, এডঃ প্রদীপ আইচ দীপু, এডঃ আব্দুল সালাম, এডঃ জাহাঙ্গীর আলম, এডঃ আলহাজ্ব এ এম নুরুল আবছার, এডঃ জান্নতুল নাঈম রুমানা, এডঃ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, এডঃ ফজলুল বারী, এডঃ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, এডঃ মীর ইকরাম উদ্দীন আলমগীর, এডঃ সাইফুদ্দীন খালেদ, এডঃ স্বপন কুমার চৌধুরী (বান্দরবন), এডঃ তোফায়েল আহমেদ, এডঃ হাসান আলী, এডঃ ইব্রাহীম খলিল, এডঃ আশফাক আহমদ চৌধুরী, এডঃ সাইফুদ্দীন মানিক, এডঃ মঞ্জুর মোর্শেদ ভূঁইয়া, এডঃ বদরুল হাসান, এডঃ খুশনুদ রাইসা উশিকা, এডঃ দেওয়ান ফিরোজ, এডঃ এইচ. এম সহরোয়ার্দী, প্রমুখ সহ সর্বমোট ৭৪জন মানবাধিকার আইনজীবী।