——
হাজার বছর ধরে কলম হাতে নিয়ে সাদা কাগজে কিছু আঁকিবুঁকি করব ভাবছি।
অনেক ভাবনা অনেক কিছু মস্তিষ্কের নিউরনে বারবার ইলেকট্রিক শক দিচ্ছে।
তবুও আমি লিখতে অক্ষম।
পাখির পালকের অংশ কালির দোয়াতে ভিজিয়ে সাদা কাগজের বুকে দাগ টানার যুগ পার করে আধুনিক কলমের যুগে এসেছি ।
সেই থেকে ভাবছি কিন্তু কাগজের বুকে দাগ তো দুরের কথা একটা ফোটা দিতেও আজ অবধি পারি নি।
নিদ্রা থেকে উঠে নয়নযুগল খোলা মাত্রই অনিচ্ছা সত্ত্বেও প্রতিদিন কত কিছুই না প্রত্যক্ষ করি , কত কিছুই না শ্রবন করতে হয় কর্ণদ্বয় দিয়ে।
আমি অন্ধ আর বধির হয়ে থাকতে চেষ্টা করি, সব কিছু দেখেও না দেখার ভান করি।
কিন্তু তরুন প্রানের তাজা রক্ত আগুনের মতো জ্বলে উঠে।
এই বুঝি আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত হবে।
আর সেই আগ্নেয়গিরি আসবে আমার বিবেক শরীর সব ভেদ করে আমার কলমের কালিতে, লাভা হয়ে পড়বে সাদা খাতায়।
কলমের শীষ অবধি এসে তা থেমে যায়, কালো লাভায় পূর্ণ হয় না সাদা খাতা।
ভাবনাগুলো বিদ্রোহগুলো জমা হতে হতে মস্তিষ্কের ভিতর স্তুপ তৈরি হয়েছে।
মস্তিষ্কের আর ধারন করার ক্ষমতা নেই, তাই মাঝে মাঝে স্তুপ ফেটে ভাবনাগুলো বেরোতে চেষ্টা করে কিন্তু পারে না, ফলস্বরূপ আমার মস্তিষ্কে তৈরি হয় প্রচন্ড অস্থিরতা।
আমি ঘুমোতে পারি না।
আমার কানে বিরতীহীনভাবে কে যেন বলতে থাকে , ” তোমার আগ্নেয়গিরির লাভা এবার বের হতে দাও আর কত আটকে রাখবে!”
আমি রণরঙ্গিণী হয়ে হাতে মহাস্ত্র কলম নিয়ে যুদ্ধে নামতে চাই কিন্তু সাহসে কুলায় না।
হে তরুন আসো প্রতিবাদ করো পারলে এই অক্ষমকে যুদ্ধ করার অনুপ্রেরণা জোগাও!
——-
বাংলা বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়