চকরিয়া প্রতিনিধি :
তানিশার বন্ধুরা ব্যগ কাঁধে নিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাচ্ছে, সেখানে তানিশার জীবন পার করছে ঘরের কোণায়।
চকরিয়া উপজেলার কোনাখালীর বাসিন্দা আবদুল গফুরের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যা তানিশা (১৪) চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণ করা হয়।
তানিশার মা অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী জীবনের তাগিদে প্রবাসে অবস্থান করছে। পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মধ্য বাটাখালী এলাকায় আমাদের নতুন বাড়িতে ২ছেলে ১মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছি।
মেয়ে বাড়ি থেকে টমটমে চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সড়কের পূর্ব পয়েন্টে নেমে যায়। পায়ে হেঁটে গ্রামার স্কুলে যাওয়ার পথে, কোনাখালী ইউনিয়নের পুরুত্যাখালী ৭নং ওয়ার্ডের চৌকিদার শফিউল আলমের পুত্র বখাটে শিব্বির প্রকাশ টুকাই শিব্বির আমার মেয়েকে অপহরণ করে অজানা গন্তব্য নিয়ে যায়।
স্কুল সুত্রে জানা যায়, তার (তানিশা) স্কুলে ভর্তি রেজিস্ট্রার অনুযায়ী জন্ম তারিখ ২৬/০৩/২০১০ ইং। সে অনুযায়ী ১৫ বছর পূর্ণ হয়নি অথচ পরিষদ থেকে বয়স বাড়িয়ে ১৯ বছরের জন্মসনদ তৈরী করেছে শিব্বির।
তানিশার পিতা আবদুল গফুর সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, আমার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণ করে বখাটে শিব্বির ও তার ৩জন বন্ধুসহ আমার মেয়েকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করেছে।
তিনি আরো বলেন, শিব্বির জেলে যাওয়ায় পর তার বাবা চৌকিদার শফিউল বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রকাশ্য মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন। আটককৃত শিব্বিরের পিতা ও তার অপর সহযোগীরা তানিশাকে জিম্মি করে করা ছবি ও ভিড়িও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে প্রেমের নাটক সাজিয়ে মান সম্মানহানি করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে, আমি মেয়ের সাথে ঘটে যাওয়া নির্মম নির্যাতনের বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তা কামনা করছি।