তামজিদুর রহমান
নোবিপ্রবি :
অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন নির্মাতা ও অভিনেতা হুমায়ূন সাধু (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাহি রাজিউন)।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তিনি বলেন, ‘সাধুকে তিনদিন ধরে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। অবশেষে সে জীবন যুদ্ধে হেরে আমাদের ছেড়ে চলে গেল।’
এরপর বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২টা ৫৫ মিনিটে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, হুমায়ূন সাধুর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে এসেছেন। তারা সবাই মিলে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন তিনি জানান।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর হুমায়ূন সাধুর প্রথম ব্রেন স্ট্রোক হয়। এরপর হুমায়ূন সাধুকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে ১৩ অক্টোবর রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) তাকে বিদেশে নিয়ে অস্ত্রোপচারেরও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রোববার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে হঠাৎ সাধুর দ্বিতীয় ব্রেন স্ট্রোক হয়। এরপরই তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন বৃহস্পতিবার তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর হাত ধরে শোবিজে হুমায়ূন সাধুর পথ চলা শুরু। অভিনয় দিয়ে দর্শকদের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন, নাটক নির্মাণ করেও প্রশংসিত তিনি। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ সিনেমা দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু হয় তার।
সাধু অভিনীত ‘ঊন মানুষ’ এবং পরিচালিত ‘চিকন পিনের চার্জার’ নাটক ব্যাপক আলোচিত হয়। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশ পেয়েছে তার প্রথম বই ‘ননাই’। একটি সিনেমা নির্মাণের কাজও হাতে নিয়েছিলেন তিনি। অভিনয়, নির্মাণ ও লেখালেখি-তিনটিই সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছিলেন ‘ঊন মানুষ’ খ্যাত এ তারকা।