ঢাকাশুক্রবার , ৭ নভেম্বর ২০২৫
  1. সর্বশেষ

দুই সন্তানসহ করোনামুক্ত হলেন রাঙ্গুনিয়ার ইউএনও

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২২ জুন ২০২০, ৬:৪০ অপরাহ্ণ

Link Copied!

জাহেদুর রহমান সোহাগ; স্টাফ রিপোর্টার:চট্টগ্রাম-

দুই শিশু সন্তানসহ করোনাভাইরাসের সংক্রমিত হয়েছিলেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুর রহমান (৩৮)। করোনার সঙ্গে দীর্ঘ ২৩ দিন লড়াইয়ের পর তিনজনই করোনাভাইরাসমুক্ত হয়েছেন।বিষয়টি জানিয়ে গত শনিবার নিজের ফেসবুকে একটি লেখা প্রকাশ করেন ইউএনও। রোববার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের সুস্থ হওয়ার ঘোষণা দেয়। এখন আবার কর্মস্থলে যোগ দেওয়া অপেক্ষায় আছেন ইউএনও। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীর জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায়।দেশে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মাঠপর্যায়ে সক্রিয় ছিলেন মাসুদুর রহমান। রাঙ্গুনিয়ায় বিদেশফেরত ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেছেন তিনি। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে হাটবাজারে ঘুরেছেন। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউন, গণপরিবহন সীমিত রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, কর্মহীন মানুষদের মধ্যে সরকারি ত্রাণ বিতরণ ও বন্টন করতে গিয়ে তাঁকে নানা ধরনের মানুষের সংস্পর্শ আসতে হয়েছে। আর এ থেকে মাসুদুর ও তাঁর দুই ছেলের মধ্যে করোনা সংক্রমিত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, গত ৩০ মে করোনা পরীক্ষার জন্য মাসুদুর রহমান নমুনা দেন। নমুনা পরীক্ষায় ১ জুন তিনি করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। এরপর তিনি সরকারি বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো তিনি চলেন। এরপর তাঁর দুই বছর ও চার বছর বয়সী দুই ছেলের নমুনা পরীক্ষাতেও করোনা শনাক্ত হয়।
করোনা জয়ের অভিজ্ঞতার বিষয়ে মাসুদুর রহমান বলেন, ‘পরপর দুবার আমার ও এক ছেলের করোনা পজিটিভ আসায় একটু ঘাবড়ে যাই। তবে মনোবল শক্ত রেখেছি। সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করেছি। সবার দোয়া ও সহযোগিতায় চিকিৎসকদের নিয়ম মেনে সবকিছু করেছি। ঘরে থেকে চিকিৎসা নিয়েছি। বেশি করে ভিটামিন সি ও ডি-যুক্ত খাবার খেয়েছি। দৃঢ়তার সঙ্গে এই ভাইরাসকে মোকাবিলা করেছি। করোনার উপসর্গ কমে যাওয়ার পর বাসার একটি কক্ষে বসে কার্যালয়ের কাজ করেছি।’করোনামুক্ত হতে পারায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞ ইউএনও। তাঁর মতে, কোভিড-১৯-এর এখনো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃত কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তাই এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করেই সবাইকে স্বাভাবিক জীবনযাপন অব্যাহত রাখতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে না চললে এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে কেউ নিরাপদ থাকতে পারবেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা কর্মকর্তা ও করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন মো. ফোরকান উদ্দিন সিকদার বলেন, ইউএনও এবং তাঁর দুই শিশুপুত্রের শুরু থেকে করোনা উপসর্গ ছিল। উপসর্গ অনুযায়ী তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি ও তাঁর এক সন্তানের পরপর দুবার করোনা পজিটিভ হয়। মনোবল না হারিয়ে তাঁরা চিকিৎসা নেন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

446 Views

আরও পড়ুন

ঘটমাঝি ইউনিয়নের মানুষের আস্থার নাম আক্তার হোসেন

রাজনৈতিক সহনশীলতা ও উদারতার অনন্য দৃষ্টান্ত

টাংগুয়ার হাওরে ঘুরতে এসে খাদে পড়া বাসের চাপায় মা-মেয়ে নিহত

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তরুণ কলাম লেখক ফোরামের নেতৃত্বে মোফাজ্জল–সামিন

সুন্দরবনে অবৈধ মাছ ধরা রোধে অভিযান চলমান

মোয়াজ্জেম ছদ্মবেশী হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

কক্সবাজারকে নিরাপদ শহর গড়ে তুলা হবে- র‍্যাব সিও কামরুল হাসান

শান্তিগঞ্জে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষ্যে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

সাগরপথে পাচারকালে নারী-শিশুসহ২৯জনকে উদ্ধার,মানব পাচার চক্রের তিন সদস্য আটক

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ।।

সুনামগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীতা চেয়ে মতবিনিময় সভায় অংশ নিলেন এম এ মালেক খান

শান্তিগঞ্জে সুবিপ্রবি’র স্হায়ী ক্যাম্পাস দ্রত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা