ফাহিম আবেদ, কক্সবাজার :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার ১ (চকরিয়া - পেকুয়া) আসন থেকে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। মনোনয়ন সংগৃহীত ব্যক্তিরা হলো: কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমেদ সিআইপি, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ জাফর আলম, তৃণমূল বিএনপির চৌধুরী আফতান নুর, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আব্দুল আইয়াল মামুন, চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, ওয়ার্কাস পার্টির নেতা ( মুক্তিযোদ্ধা) আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, চকরিয়ার শাহনেওয়াজ চৌধুরী ও শফিকুর রহমান, জাতীয় পার্টির (জেপি)এএইচ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, পেকুয়ার এ এইচ এম হেলাল উদ্দিন, জাতীয় পার্টির ( জাপা) হোসনে আরা, ইসলামি ফ্রন্টের প্রার্থী বেলাল উদ্দিন।
তন্মধ্যে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত (নৌকার) প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপির মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
রোববার (০৩ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সূত্রমতে, কক্সবাজার লালদিঘী পাড়স্থ জনতা ব্যাংকের শাখা থেকে ‘ফিস প্রিজারভারস’ নামক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে সালাহ উদ্দিন আহমদ সহ অন্যান্য পরিচালকগণ প্রায় অর্ধ শত কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। যা পরবর্তীতে খেলাপি হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন হলেও ব্যাংকের শর্ত অনুযায়ী সালাহ উদ্দিন আহমদ এখনো সেই ঋণের একজন দায়বদ্ধ।
জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনও বাংলাদেশ ব্যাংকের Credit Information Bureau (সিআইবি) রিপোর্ট অনুযায়ী সালাহ উদ্দিন আহমদ একজন ঋণখেলাপি ছিলেন। তাই তার মনোয়নপত্র আইন অনুযায়ী বৈধ নই।
এবিষয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি বলেন, যে অযুহাতে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে সেটি আদালতের মাধ্যমে স্ট্রে করা ছিলো। মনোনয়ন কেন বাতিল করা হলো তা আমি অবগত নয়। বিষয়টি নিয়ে আমি নির্বাচন কমিশনে আপিল করবো।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০