——————
মেহেন্দিগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণ-এর আয়োজনে ১০ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সারাদেশের নৌপথে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ঢাকা-কালিগঞ্জ (উলানিয়া) লঞ্চের যাত্রীদের কাছ থেকে। অত্র এলাকায় দিনে পরিচালিত লঞ্চগুলো থেকে মধ্যবিত্ত-নিন্ম মধ্যবিত্ত শ্রেণির যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বনিন্ম ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ৫০০-৮০০ টাকা। অথচ ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা- ভোলা, ঢাকা-পটুয়াখালী, ঢাকা-ঝালকাঠীসহ অন্যান্য নৌ-রুটে সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায় করা হলেও ঢাকা-কালিগঞ্জ রুটে প্রায় দ্বিগুন ভাড়া আদায় এক রকমের মরার উপর খড়ার ঘা। অতএব, বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আমাদের দাবি সরকার নির্ধারিত ভাড়া নেয়া হোক। এই দাবি না মানলে আগামীতে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচিতে যাবো।
এতে বক্তব্য রাখেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান আরজু, এ্যাড. মিজানুর রহমান চৌধুরী রুবেল, কলামিস্ট মোমিন মেহেদী, তানভীর রানা, মাহবুবুল হক জসিম, সেভ দ্য রোড-এর মহাসচিব শান্তা ফারজানা, সুজা উদ্দিন রাহাত, মিজান শাহজাহান, রফিকুল ইসলাম, কবির তালুকদার রাজু, আবির হাওলাদার নিপু, সার্জেন্ট সজিব, মো, নান্নু, রফিকুল ইসলাম, রাকিব হাওলাদার, রিয়াজ আহমেদ, আরিফ হোসেন, মো. মিরাজ প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন মানববন্ধনের সমন্বয়ক পারভেজ হাওলাদার। সঞ্চালনা ও সমন্বয় করেন রুবেল তালুকদার ও জহিরুল ইসলাম রুবেল।
এসময় রাজনীতি-শিক্ষা-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অঙ্গণে নিবেদিত মেহেন্দিগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে বক্তারা অত্র এলাকার লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের কাছে ৩ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- ১. সরকার নির্ধারিত ভাড়া নিতে হবে ২. যাত্রী হয়রানি বন্ধে প্রতিটি লঞ্চে কমপক্ষে ৪ জন আনসার সদস্য রাখার ব্যবস্থা করতে হবে ৩. লাশ নেয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
বক্তারা এসময় আরো বলেন, ঢাকা-কালিগঞ্জে ১০-১২ টি লঞ্চ নিয়মিত আসা যাওয়া করে। অন্যান্য লঞ্চ ঘাটে যতটুকু সময় ভিরে থাকে, তার চেয়ে অনেক কম সময় দেয়ায় তাড়াহুরো করে লঞ্চে উঠার কারণে নিত্যদিনই কোন না কোন দুর্ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নির্ধারিত সময় কমপক্ষে ২০ মিনিট লঞ্চ কালিগঞ্জ ঘাটে রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।