নিজস্ব প্রতিবেদক
সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের সংগঠন ‘সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’ এর দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন আদালতের আদেশে স্থগিত হয়ে গেছে। আগামি ৩০ নভেম্বর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নতুন সদস্যভূক্ত হওয়া ১৫ সদস্যকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ রেখে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় সংক্ষুব্দ ১০ জন সদস্য বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে মামলাটি করেছিলেন।
সিনিয়র সহকারি জজ থেকে যুগ্ম জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া সুশান্ত চাকমা বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকালে এই আদেশ দিয়েছেন।
আদেশে বলা হয়, মামলাটি নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী একরাম হোসেন সাদ্দাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২৬ নভেম্বর শামসুল আলম শ্রাবণ, জহিরুল ইসলাম, নাছির উদ্দিন আল নোমানসহ ১০ জন সদস্য বাদী হয়ে তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে কক্সবাজার সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। মামলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার মুহম্মদ নূরুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার এসএম আমিনুল হক চৌধুরী ও মাহবুবর রহমান এবং সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার- জেইউসি’র বর্তমান সভাপতি জি এ এম আশেক উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সরওয়ারকে বিবাদী করা হয়।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে জবাব দিতে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদেশ জারি করেন। নির্বাচন কমিশনারগণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের লিখিত জবাব আদালতে জমা দেন। বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়। এ দিন দুপুরে সিনিয়র সহকারি জজ সুশান্ত চাকমার আদালতে দীর্ঘ সময় ধরে শুনানি হয়। আদালত দুইপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে পরে রায় দেয়ার ঘোষণা দেন। বিচারক বিকালে প্রাথমিক ভাবে নির্বাচন স্থগিতের আদেশ জারি করেন।
এই মামলায় বাদী পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহিদ উল্লাহ মামুন, অ্যাডভোকেট আকতার উদ্দিন হেলালী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ, অ্যাডভোকেট একরাম হোসেন সাদ্দাম প্রমূখ।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে সদস্যভূক্ত ১৫ জন সদস্যকে ভোটাধিকার না দিয়ে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার-জেইউসি’র নির্বাহী কমিটি ভোটার তালিকা প্রকাশ ও বিশেষ সাধারণ সভায় নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী আগামি ৩০ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের কথা ছিল।
এবারের নির্বাচনে দু’টি প্যানেলে বিভক্ত হয়ে জমজমাট নির্বাচনী প্রচার চলছিল। একটি প্যানেলে দৈনিক নয়াদিগন্তের কক্সবাজার অফিস প্রধান জি এ এম আশেক উল্লাহ সভাপতি ও দৈনিক কালের কন্ঠের কক্সবাজার ব্যুরো চীফ আনছার হোসেন (মোহাম্মদ আনছার উদ্দিন) সাধারণ সম্পাদক এবং অন্য প্যানেলে দৈনিক দিনকালের স্টাফ রিপোর্টার নুরুল ইসলাম হেলালী ও স্থানীয় দৈনিক রূপালী সৈকতের বার্তা সম্পাদক এস এম জাফর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করছিলেন।