অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার জন্য ইসলামাবাদের আইজিকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশন জানিয়েছে, ইমরান যেন জামিন না পান— এমন ধারায় তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। মঙ্গলবার ইমরানকে তাদের সামনে হাজির করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে অবমাননার জন্যই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের চার সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, বলা সত্ত্বেও ইমরান কমিশনের সামনে আসেননি। তাই ইমরানকে গ্রেপ্তার করে তাদের সামনে হাজির করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
কমিশনের অভিযোগ, ইমরান ও তার দলের দুই নেতা মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য ও ভয়ংকর অভিযোগ করেছেন।
সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে ইমরান একটি মামলায় জামিন পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর ইমরানের বিরুদ্ধে ১৫০টিরও বেশি মামলা হয়েছে।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার নির্বাচন কমিশনের নোটিশ ইমরানের লাহোরের বাড়িতে তার এই আইনজীবী গ্রহণ করেন। সেখানে ২৫ তারিখ কমিশনের সামনে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইমরানও সেখানে উপস্থিত থাকবেন।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের পরই ইমরান ইউটিউবে তার সমর্থকদের বলেন, তিনি জেলে যাওয়ার জন্য তৈরি আছেন। পাকিস্তানের মিডিয়ার নিয়ন্ত্রক সংস্থা টেলিভিশনে ইমরানের ভাষণ সম্প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ইমরান বলেছেন, মিডিয়া এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে। ওরা এখন সব চ্যানেলকে সরকারি চ্যানেলে পরিণত করেছে।
ইমরান বলেছেন, তার বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছে, সব মিথ্যা ও ভুয়া। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ তাকে জেলে পাঠাতে বদ্ধপরিকর।