স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার গনিগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নবনির্বাচিত সহ সম্পাদক, নোয়াখালী বাজারের ফেমাস টেলিকম এর পরিচালক ও সামাজিক সংগঠক ফখরুল ইসলাম জয় নিখোঁজ হওয়ায় সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকাল ৩ ঘটিকায় গনিগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কবির আহমদের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহ আলম এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিখোঁজ ফখরুলের পিতা মুহাদ্দিস মোঃ বশির আহমদ।
কান্না জড়িত কন্ঠে নিখোঁজ ফখরুলের পিতা মুহাদ্দিস মোঃ বশির আহমদ বলেন, আমার ছেলে ৬ দিন ধরে নিখোঁজ। তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। প্রশাসনের নিকট অনুরোধ করে বলেন, আমার ছেলে ফখরুল ইসলামকে তার নাবালক ৩ সন্তানের কাছে অনতিবিলম্বে অক্ষত অবস্হায় ফিরিয়ে দাও।
এসময় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন গনিগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম রাজু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হেলাল আহমদ, অর্থ সম্পাদক মোস্তফা মিয়া,দপ্তর সম্পাদক আব্দুস ছাত্তার, নির্বাহী সদস্য নিজাম উদ্দিন, জহিরুল ইসলাম, ফখরুল ইসলাম ও ব্যবসায়ী নুনু মিয়া।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফখরুল ইসলাম জয় ২৮শে জুন সকালে নোয়াখালী বাজারের ফেমাস টেলিকমে গেলে রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। দোকানের সাটার অর্ধ নামানো অবস্থায় নিখোঁজ হন তিনি। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনও বন্ধ।
নিখোঁজের পর আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও ফখরুল ইসলাম জয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজন, শান্তিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন। ৬ দিন পার হলেও সন্ধান মেলেনি তার। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী দ্রুত মোবাইল ট্র্যাকিং ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফখরুলকে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবি জানান প্রশাসনের কাছে।
মানববন্ধনে প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফখরুলকে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলে গনিগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পরবর্তী কর্মসূূচী শনিবারে কর্মবিরতি,
রবিবারে স্মারকলিপি প্রদান ও সোমবারে অবস্হান কর্মসূচী ঘোষণা করেন।
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য লিটন দাস তালুকদার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রঞ্জু দাস,অরুন তালুকদার, রাজ্জাক মিয়া,
বারিন্দ্র বৈদ্য,সৈকত দাস,অসিত দাস, আব্দুল মুকিত,কাওছার আহমদ,জাকারিয়া,শরীফ
মিয়া, রাজিব,রিয়াদ,তারেক মিয়া, বদরুজ্জামান, জিয়াউল হক, বিপ্টু দাস, তারেক আহমদ, আব্দুস শহীদ, রফিক উদ্দিন, তাহিদ আহমদ,হাবিল আহমদ, ছইদুর রহমান, আব্দুল বাছিত, চিশতিয়া, জাহিদুল, এনামুল হক, আবু উবায়দা, রুকন,নির্মল তালুকদার, কদর আলী,আজিজুল হক, অজিত দাস, লিটন, শহীদুল, নুর হোসেন, অঞ্জন দাস,আফাজ উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম, জুসেল মিয়া, জয়ন্ত দাস, বিনয় দেবনাথ, রাজু মিয়া, আব্দুল হেকিম, সাদ্দাম রেজা, সুজিত দাস, রহিম উদ্দিন, ছালাতুল ইসলাম আমিন, মাছুম মিয়া, নজির উদ্দিন, আবু সাঈদ, মছব্বির, মাহমুদ আলী, আব্দুল কাইয়ুম, মিটুন কান্তু সরকার, পরিমল, রামপ্রসাদ দেবনাথ, জহির আহমদ, রামমোহন দেবনাথ, মাদব, রঞ্জন দাস, ফজর আলী, ইসরাক জাহান, সৌরভ, তাহির আলম, আব্দুল মোক্তাকিন, নুর হোসেন মোসাদ্দিক রেজা, আব্দুল ছমির,আল আমিন, মিজানুর রহমান, নুরুল ইসলাম, পল্লী চিকিৎসক লতিবুর রশিদ, নাজমুল হক, বীরেন্দ্র দেবনাথ, কিবরিয়া, মখলিছুর রহমান ও মোঃ আলম সহ এলাকাবাসী প্রমুখ।
এ বিষয়ে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। নিখোঁজ ফখরুল ইসলামের সন্ধানে আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে।