ঢাকাশুক্রবার , ৩ মে ২০২৪
  1. সর্বশেষ

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের ঐতিহ্যবাহী কুপি বাতি

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২৫ মার্চ ২০২০, ২:০২ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

আধুনিকতার সংস্পর্শে এবং বৈদ্যুতিক যুগে বতর্মানে আহবহমান গ্রামবাংলার এক সময়ের জনপ্রিয় কুপি বাতি কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে। এই কুপি বাতি শুধুই এখন স্মৃতি।

কালের বির্বতনে কুপি বাতির স্থান দখল করে নিয়েছে বৈদ্যুতিক বাল্ব, চার্জার, চার্জার ল্যাম্প, চার্জার লাইটসহ আরো অনেক কিছুই। আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে আবহমান গ্রামবাংলার কুপি বাতি যেন হারিয়ে যাচ্ছে রুপসী গ্রাম বাংলা থেকে। এক সময় আবহমান গ্রামবাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে এই কুপি বাতি আলো দিত। যা এখন খুব কমই চোখে পড়ে। রুপসী-গ্রামবাংলার সেই চিরচেনা প্রযোজনীয় কুপি বাতি আজ এক প্রকার কালের বিবর্তনে বিলীন হয়ে গেছে বললেই চলে।

আমাবস্যার রাতে মিটি মিটি আলো জ্বালিয়ে গ্রামের মানুষের পথ চলার স্নৃতি এখনো সৃষ্টিশীলদের কাছে টানে। এমন একটা সময় ছিল যখন গ্রামবাংলার আপামর জনসাধারণের অন্ধাকারে একমাএ আলোক বর্তিকার কাজ করতো এই কুপি বাতি। কুপি বাতিগুলো ছিল বিভিন্ন ডিজাইনের ও বাহারী রঙের ।

এই কুপিগুলো তৈরি হত কাঁচ, মাটি, লোহা আর পিতল দিয়ে। গ্রামবাংলার মানুষ সামর্থ অনুযায়ী কুপি কিনে ব্যবহার করতেন। বাজারে সাধারনত দুই ধরনের কুপি পাওয়া যেত বড় ও ছোট। বেশি আলোর প্রযোজনে কুপি বাতিগুলো কাঠ এবং মাটির তৈরী গছা অথবা স্টান্ডের উপর রাখা হত। এই গছা অথবা স্টান্ডগুলো ছিল বিভিন্ন ডিজাইনের ও বাহারী ।

কিন্তু বর্তমানে গ্রামে বিদ্যুতের ছোঁয়ায় কুপি বাতির কদর যেন হারিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকলেও গ্রামবাংলার মানুষ ব্যবহার করছেন সৌর বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন রকমের র্চাজার। রুপসী-গ্রামবাংলা আপামর মানুষের কাছে কুপি বাতির কদর কমে গেলেও আবার কেউ কেউ এই কুপি বাতির স্নৃতি আকড়ে ধরে আছেন।সরেজমিনে দেখা যায় কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামের শান্তি বালার বাড়ীতে এখনো এই বাতি ব্যবহার করা হয়।

কুড়িগ্রামে অনেকেই আবার সৌখিন হিসাবেও কুপি বাতি ব্যবহার করতে দেখা যায। উওর বড়ভিটা গ্রামের অনেশ চন্দ্র দাসের বাড়ীতে এখনও এই কুপি বাতির আলো তার ঘরকে আলোকিত করে। তিনি জানান, বাহে আমরা গরিব মানুষ টাকা পয়সা নাই তাই সোলার বা সৌর-বিদ্যুৎ নেওয়ার মত সামর্থ আমাদের নেই।

তাই বিদ্যুৎ বা সৌর-বিদ্যুৎ এর যুগেও আমরা এখনও এই কুপি বাতি ব্যবহার করছি । অনেকে আবার স্বযতেœ গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের নিদর্শণ স্বরুপ এটি সংরক্ষণ করে রেখেছেন ।

কুপি বাতির ব্যবহার ও কদর যে হারে লোপ পাচ্ছে তাতে অদুর ভবিষ্যতে কুপি বাতি শুধু স্নৃতি হয়ে থাকবে। আবহমান গ্রামবাংলায় কুপি বাতির মত ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন আজ প্রযুক্তির কল্যাণে বিলীন হযে যাচ্ছে।

438 Views

আরও পড়ুন

চট্টগ্রাম উত্তর জেলায় ছাত্র অধিকার পরিষদ এর নতুন কমিটি

পেকুয়ায় বজ্রপাতে দুই লবণ চাষির মৃত্যু

গাইবান্ধায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান মে দিবস পালিত

আলোচিত মিল্টন সমাদ্দার গ্রেফতার

নওজোয়ানের সংবর্ধনায় চবি ভর্তি পরীক্ষায় ১ম স্থান অর্জনকারী মোবারক হোসাইন

শুধু গরমে গাছের গুরুত্ব নয়, গাছ লাগাতে হবে সারাবছর

বিশ্ব শ্রমিক দিবস : একটি পর্যালোচনা

কুবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

তীব্র তাপদাহে বাড়ছে রোগী : বারান্দা-মেঝেতে একের স্থানে তিন

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড চুয়াডাঙ্গায় ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস

দোয়ারাবাজারে ধ’র্ষ’ণের পর কলেজ ছাত্রী খু’ন, খু’নী লিটন আটক!

দোয়ারাবাজারে চেলানদীতে ভেসে উঠলো নিখোঁজ ব্যবসায়ী মঈন উদ্দিনের লা’শ