স্টাফ রিপোর্টারঃ
দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করো, হাওরাঞ্চলে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করো’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে হাওর ও নদী রক্ষা আন্দোলন এর জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সুনামগঞ্জ জেলা শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
এরপর একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে লাইব্রেরি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক শাহ কামালের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব সুহেল আলম ও যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল হক মিলন’র সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাওর ও নদী রক্ষা আন্দোলন এর যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাহিদুল ইসলাম মজনু এবং সাংগঠনিক বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু আহমেদ। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল মুন্সী।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা ধূর্জটি কুমার বসু, সৈয়দ মুহিবুল ইসলাম,যোগেশ্বর দাশ,চিত্তরঞ্জন তালুকদার,
সুখেন্দু সেন, ইকবাল কাগজী, অ্যাড. এনাম আহমেদ, দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর-এর সম্পাদক পঙ্কজ দে এবং অ্যাড. মহসিন রেজা মানিক, প্রথম আলো পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক অ্যাড. খলিল রহমান এবং সংগঠনের সার্বিক কার্যক্রম, পরিকল্পনা, সমস্যা, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাল্টিমিডিয়ায় তথ্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সদস্য মিজানুল হক সরকার।
সম্মেলনে হাওরাঞ্চলের উন্নয়নে সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও দাবি তুলে ধরা হয়। বোরো ফসল রক্ষায় সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, হাওর এবং নদী খননে গুরুত্বারোপ,জলাশয়ে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা ইত্যাদি। সুপরিকল্পিত ভাবে হাওর রক্ষায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান বক্তারা।
তৃতীয় অধিবেশনে উদেষ্টা ও উপজেলার আহ্বায়কদের নিয়ে কাউন্সিল গঠন করে সবার ভোটাধিকারের মাধ্যমে আগামি দুই বছরের জন্য সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন মো. রাজু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওবায়দুল হক মিলন। আগামি ১৫ দিনের ভিতরে জেলা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সম্মেলনের সমাপ্তি হয়।