প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার। রাষ্ট্র ভবিষ্যতে কতটা উন্নত হবে, তা নির্ভর করবে দক্ষ, জ্ঞানী ও শিক্ষিত মানবসম্পদ গড়ে তোলার ওপর—এমন মন্তব্য করেছেন বক্তারা। তারা বলেন, বর্তমান সময়ে শিক্ষা সংস্কারকে এক নম্বর এজেন্ডায় রাখতে হবে। বৈষম্যহীন ও উন্নত রাষ্ট্র গড়তে হলে সাধারণ, মাদ্রাসা, ইংলিশ মিডিয়াম, ব্রিটিশ ও এনসিটি-ভিত্তিক পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তে সবার জন্য একমুখী ও সমন্বিত শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। অন্যথায় প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে রাষ্ট্র অন্ধকারেই থেকে যাবে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের নৈতিক শিক্ষাভিত্তিক ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম নর্দান পাবলিক স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও বিজয় দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এম সাইফুর রহমানের সঞ্চালনায় এবং চেয়ারম্যান অধ্যাপক শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক, রাষ্ট্রচিন্তাবিদ ও চট্টগ্রামের সামাজিক আন্দোলনের সংগঠক জনাব ওসমান জাহাঙ্গীর। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম নর্দান পাবলিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জনাব জি. এম. সাইদুর রহমান মিন্টু।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এরশাদুল আলম এবং শিক্ষিকা বিবি উম্মে কুলসুম, রোমানা নাসরিন, সৃষ্টি বড়ুয়া, মোশাররফ হোসাইন, সাবরিনা পারভীন ও ইয়ামিন রহমান। অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক সম্মানিত অভিভাবক-অভিভাবিকাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, “আজকের শিশুরাই আগামীর বাংলাদেশ। শিশুদের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে হলে পড়াশোনার পাশাপাশি চারুকলা ও সৃজনশীল শিক্ষায় মনোযোগী হতে হবে।”
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।