ঢাকামঙ্গলবার , ৩ জুনe ২০২৫
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

চিকিৎসার অভাবে মারা যাওয়া বাবার জমজ তিন সন্তান মেডিকেলে চান্স পেয়েছে

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১:০৪ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

—–
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় প্রত্যন্ত গ্রামের তিন জমজ ভাই মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এদের মধ্যে এক ভাই গত বছর, অপর দুই ভাই এবার চান্স পান। অথচ একটা সময় তাদের বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভালো চিকিৎসার অভাবে মারা যান।

তারা ধুনট নবির উদ্দিন পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও পরে বগুড়া সরকারি কলেজ শাহ সুলতান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন।

তিন জমজ ভাইয়ের মধ্যে মাফিউল হাসান ২০২৩ সালে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে এবং এবার সাফিউল হাসান দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে, রাফিউল হাসান নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

সরকারি শাহ সুলতান কলেজের অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম বলেন, শুনেছি তিন জমজ ভাইয়ের মধ্যে গতবার একজন এবং এবার দুজন মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। ওদের জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।

তাদের মা আর্জিনা বেগম বলেন, ২০০৯ সালে ওদের বাবা গোলাম মোস্তফা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তখন ওদের বয়স ৫ মাস। বাবার স্নেহ মমতা কিছুই পাইনি ওরা। একপর্যায়ে তিন সন্তানকে পড়ালেখা করানো নিয়ে অনেক বিপাকে পড়ি।

তিনি বলেন, নিজে কষ্ট করে জমি বিক্রি করে
ওদের পড়ালেখা করিয়েছি। প্রায় ৫ বিঘা জমি ছিল। বাবার বাড়ির জমিও বিক্রি করে ওদের পিছে লাগিয়েছি। বাকি যা আছে তাও প্রয়োজনে বিক্রি করব। তবুও ওদের ডাক্তার বানাব। যাতে আমাদের মতো গরিব মানুষদের সেবা করতে পারে। আমি কত খুশি হয়েছি প্রকাশ করতে পারব না। গ্রামের লোকজন ওদের যখন দেখতে আসে তখন বুক ভরে যায়।

গত শিক্ষাবর্ষে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া মাফিউল হাসান বলেন, ‘আমরা তিন জমজ ভাই বগুড়ায় মেসে একই সঙ্গে থেকে সরকারি শাহ সুলতান কলেজে পড়েছি। মা, কষ্ট করে এবং জমি বিক্রি করে পড়ালেখা করিয়েছেন। কখনোই আমাদের কষ্ট করতে দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘বথুয়াবাড়ি গ্রামের মধ্যে আমরাই প্রথম মেডিকেলে চান্স পেয়েছি। এর আগে আর কেউ সুযোগ পায়নি। খুবই ভালো লাগছে আমরা তিন ভাই ডাক্তার হব।’

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়া শাফিউল বলেন, আজ বাবা থাকলে কত খুশি হতো। বাবাকে হারিয়েছি শিশুকালে। এখন মা আমাদের বাবার অভাব পূরণ করেছেন। মানুষের সেবা করার জন্য যাতে চিকিৎসক হতে পারি সবার কাছে এ দোয়া চাই।

নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাওয়া রাফিউল ইসলাম জানান, অসুস্থ অবস্থায় বাবা মারা যায়। যখন বিষয়টি জানতে পারলাম তখন থেকেই তিন ভাই ডাক্তারি পড়ার প্রতিজ্ঞা করি। গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা করব। বাবার মতো যেন কাউকে অকালে ঝরে পড়তে না হয়।

1,277 Views

আরও পড়ুন

শিশু আকিদা খানমের আর্থিক সহায়তা চেয়ে পিতার চিঠি

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মরণে টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

সিটি কলেজে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি, সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে শিবিরের স্মারক লিপি পেশ

১ যুগ পর নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াতে ইসলামী

দোয়ারাবাজারে বজ্রপাতে তিনটি গরুর মৃত্যু, আহত দুই কৃষক

চকরিয়া ইউনিক হাসপাতালে নিয়মিত রোগী দেখেন ও অপারেশন করেন ডাঃ মোঃ মাহমুদুল আমিন

গাজীপুরে নবীন প্রবীণ জনকল্যাণের সংস্থার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

কেন মণিপুরী মুসলমানরা হানাফী মাজহাব অনুসরণ করেন?

টানা ভারী বর্ষণে বেড়েছে চিরিংগায় চোরদের পুনর্বাসন

টেকনাফে যৌথ অভিযানে নেচার পার্কের পুকুরে মিললো বিপুল পরিমাণ তাজা গোলা ও হ্যান্ড গ্রেনেড

টানা ভারী বর্ষণে বেড়েছে চিরিংগায় চোরদের পুনর্বাসন

গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জামায়াত প্যানেলের অভূতপূর্ব বিজয়