ঢাকামঙ্গলবার , ৫ নভেম্বর ২০২৪
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ভয়াবহ বন্যায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন কর্তৃক ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২:০০ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

মাহবুবুর রহমান সাজিদ :

আকস্মিক বন্যায় বৃহত্তর চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। জনজীবন হয়ে পড়েছিল বিপর্যস্ত। পানিবন্দি অসহায় মানুষদের দুর্দশার অন্ত ছিল না।


বন্যার সংবাদ পেয়েই আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিদর্শক টিম দুর্গত এলাকায় ছুটে যায়। জনজীবনের ভয়াবহ দুর্দশার চিত্র প্রত্যক্ষ করে তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করার। দুর্গত এলাকায় ছুটে যান আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সম্মানিত চেয়ারম্যান শায়খ আহমদুল্লাহ। দেশবাসিকে আহ্বান জানান বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে। শুরু হয় ত্রাণ তৎপরতা। দেশের আপামর জনসাধারণ তাদের সাধ্যনুযায়ী অর্থ এবং শ্রম দিয়ে পানিবন্ধী মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন।
যথাসম্ভব দ্রুততার সহিত সর্বাধিক আক্রান্ত ৯টি উপজেলার বন্যাদুর্গত ৭৫৫২টি পরিবারের কাছে জরুরি ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।


দুর্গত মানুষের সুবিধা এবং প্রয়োজনীতা বিবেচনা করে প্রথম ধাপে শুকনো খাবার (খেজুর, চিড়া, চিনি), বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন এবং মোমবাতি সরবরাহ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে বিতরণ করা হয় চাল, ডাল, তেল এবং লবণ।

ত্রাণ সামগ্রীগুলো যথাক্রমে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ১৫২২টি, চান্দনাইশে ১০০০টি, লোহাগাড়ায় ৫৩০টি, কক্সবাজারের চকরিয়ায় ১৪০০টি, পেকুয়ায় ৮০০টি, রামুতে ৫০০টি এবং বান্দরবানের লামায় ৮০০টি, আলীকদমে ৫০০টি ও বান্দরবান সদরে ৫০০টি পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ কার্যক্রম শেষ হতে না হতেই শুরু হয় পুনর্বাসন তৎপরতা।


বন্যায় ঘরছাড়া মানুষেরা ঠাঁই নিয়েছিল বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র, সাইক্লোন সেন্টার, আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি কিংবা রাস্তার পাশে পলিথিন মুড়ানো খুপরিতে। অধিকাংশ ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। ফলে মাটির ঘরগুলো মিশে গিয়েছিল মাটির সাথে। কাচাঘরগুলো বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল। হতদরিদ্র অসহায় মানুষদের ঘরে ফেরা দুরূহ হয়ে পড়েছিল।

 

এই দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসনে কার্যকরভাবে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে যথাসাধ্য দ্রুততার সহিত আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন অফিসিয়াল টিম সেসব হতদরিদ্র অসহায় মানুষের ঘরবাড়ির অবস্থা সরজমিন পরিদর্শন করে তথ্য সংগ্রহ করে।

সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ৭টি উপজেলার ৩৫০টি হতদরিদ্র পরিবারকে বাছাই করা হয়। পুনর্বাসনের জন্য তাদেরকে প্রদান করা হয় ২ বান করে টিন এবং ১০ হাজার করে টাকা।

এই প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারের চকরিয়ায় ৮৮টি, পেকুয়ায় ৪০টি, বান্দরবানের লামায় ৭১টি, বান্দরবান সদরে ৩৩টি, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ৭৩টি, লোহাগাড়ায় ৩৫টি এবং চান্দনাইশে ১০টি পরিবারকে পুনর্বাসনে সহযোগিতা করা হয়।

 

উল্লেখ্য, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন বছরব্যাপী হতদরিদ্রদের স্বাবলম্বীকরণ, বেকার তরুণদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, বিভিন্ন দুর্যোগে ত্রাণ ও পুনর্বাসন, অসহায়দের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ, ইফতার সামগ্রী বিতরণ, সবার জন্য কুরবানি, বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

1,337 Views

আরও পড়ুন

শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় গ্রেফতার ১

বুক রিভিউ:সময়ের ছবি ‘নীরব কোলাহল’

মৌলভীবাজারে সোনার বাংলা আদর্শ ক্লাবের ৬ষ্ঠ মেধা যাচাই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

হাওরের জনপদ এখন উচ্চশিক্ষায় আরো এগিয়ে যাবে–ড. মোঃ আবু নঈম শেখ

রাবিতে গ্রীন ভয়েস এর নেতৃত্বে মাহিন-সিরাজুল

ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় মনিরকে

নাইক্ষ্যংছড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার !!

আগামী দিনের রাজনীতি হবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ার রাজনীতি: নাজমুল মোস্তফা আমিন

নাটোরে অস্ত্রসহ আওয়ামীলীগ নেতা ও তার সহযোগী আটক

দুর্লভ নিদর্শনে সমৃদ্ধ এশিয়াটিক সোসাইটি ঐতিহ্য জাদুঘর

রাবিতে ছাত্র উপদেষ্টার আহবানে গাছ থেকে পেরেক অপসারণ

শান্তিগঞ্জে জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত