নিলয় ধর,স্টাফ রিপোর্টার(যশোর) :
-যশোর মণিরামপুরে সরকারি চাল চুরি মামলায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বাচ্চুসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে ডিবি পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শক সৌমেন দাস।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো মণিরামপুরের হাকোবা গ্রামের মৃত সুনীল চক্রবর্তীর ছেলে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম কুমার চক্রবর্ত্তী, জুড়ানপুর গ্রামের একুব্বর মোড়লের ছেলে কুদ্দুস, রবিন দাসের ছেলে জগদীশ দাস, তাহেরপুর গ্রামের মৃত সোলাইমান মোড়লের ছেলে শহিদুল ইসলাম, বিজয়রামপুর গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে চালকল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও খুলনা দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা গ্রামের রতন হাওলাদারের ছেলে ট্রাক চালক ফরিদ হাওলাদার। চার্জশিটে অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান বাচ্চুকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে এআই তপন কুমার সিংহ বাদী হয়ে কালোবাজারির মাধ্যমে চাল মজুদের অভিযোগে আটক দুইজনসহ অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে ডিবি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামিদের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তি জবানবন্দিতে তথ্যের যাচাই বাছাই করে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ৬ জনকে অভিযুক্ত করে বৃহস্পতিবার আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল খুলনার মহেশ্বরপাশা থেকে যশোরের মনিরামপুরের উদ্দেশে ৫ ট্রাক সরকারি ত্রাণের চাল আসে। যার মধ্যে থেকে এক ট্রাক চাল গোডাউনে লোড না দিয়েই স্থানীয় ভাই ভাই রাইস মিলে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ৫৪৯ বস্তা চাল উদ্ধার এবং মিল মালিক ও ট্রাক ড্রাইভারকে আটক করেন। মামলার বিবরণে জানা গেছে, এই চালের কোন বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এসআই তপন কুমার সিংহ বাদী হয়ে কালোবাজারির মাধ্যমে চাল মজুদের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন। এই ঘটনায় আটক দুই জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ওই জবানবন্দিতে তারা মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুসহ কয়েকজনের নাম প্রকাশ করে। তদন্ত শেষে ওই ৬ জনকে অভিযুক্ত করে যশোর আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন।
তদন্তে উল্লেখ করা হয়েছে, ৫৪৯ বস্তা চাল ত্রাণের। ওই চাল ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম কুমার চক্রবর্তী বাচ্চু বেশি মুনাফার লোভে কালোবাজারে বিক্রি করে দেন। যার মূল্য ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রথমে উত্তম কুমার ৪ লাখ টাকা নিয়েছেন পরে আরো ৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোমেন দাস বলেন, আদালত চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।