মোহাম্মদ ফারুক আজম, মহেশখালী।
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা মাতারবাড়ি দেশের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন গুলোর মধ্যে একটি। প্রবেশপথ ধারাখাল ব্রিজের পর থেকে পুরো রাস্তার দেখা মিলবে উল্টো চিত্র।
মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়নসহ কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের যোগাযোগের একমাত্র সড়কটি অভিভাবকহীন। কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হলে অনেকেই আশা করেছিল এই সড়কের উন্নয়ন হবে। কিন্তু সড়ক সংস্কারের বিষয়টি অভিভাবকহীন জারজ সন্তানের মত। কেউ দায়িত্ব নেয়নি বিগত বছরগুলুতে।
এখন সর্বমহলের প্রশ্ন- এই সড়কের অভিভাবক কে?
মাতারবাড়ী- ধলঘাটাবাসীর যাতায়তের একমাত্র মাধ্যম এই সড়কের দুর্ভোগের শেষ কবে?
প্রায় সময় সড়কে কিংবা কালভার্টের ভাঙন শুরু হলে জরুরী মেরামত না করে কালক্ষেপণ করেন সংশ্লিষ্টরা।
কালভার্ট কিংবা সড়কে ফাটল বা গর্তের সৃষ্টি হলে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্রমেই বাড়ছে সড়কে ভোগান্তি। প্রায় সময় দেখা যায়, যানবাহন উল্টে গেয়ে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে জানমালের। এ নিয়ে ভুক্তভুগীদের অভিযোগের যেন শেষ নেই।
মহেশখালীর মাতারবাড়ী, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে নতুন নামে সিঙ্গাপুর পরিচিতি পায়। কিন্তু নামে স্বপ্নের সিঙ্গাপুর হলেও বাস্তবে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অসংখ্য খানাখন্দকভরা সড়ক। এর ওপর একটু বৃষ্টি হলেই সিঙ্গাপুরের সড়কে দেখা মিলে ছোটোবড়ো সুইমিংপুলের।
সড়কের যানচালকরা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি-বর্ষার মধ্যে এই রাস্তায় (সড়ক) কাদা-পানিতে নাজেহাল হয়ে থাকে। যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়। অনেক সময় মুমূর্ষু ও ডেলিভারি রোগী নিয়ে চলাচলে ঝুঁকি থাকায় বিপত্তিতে পড়তে হয়। তাই গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। প্রায় সময় সড়ক কিংবা কালভার্টের ভাঙন শুরু হলে জরুরী মেরামত না করে কালক্ষেপণ করেন সংশ্লিষ্টরা। তাই অনেকক্ষেত্রে অল্পতেই সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
স্থানীয়রা বলছেন, মাতারবাড়ীর প্রধান সড়ক দিয়ে প্রকল্পের ভারি যান চলাচলের কারণে এ সড়কের এমন বেহাল দশা। তাছাড়া সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে জনগণের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। এই ইউনিয়নে মেগা প্রকল্প স্থাপন হওয়ায় তুলনামূলকভাবে আগের চেয়ে যান চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা পুরনো সিএনজি স্টেশনসহ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি জায়গায় লেগে থাকে যানজট। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে মজবুত-টেকসই সড়ক তৈরি করে দিলে দুর্ভোগ লাগবে সহায়ক হবে৷ তাই দ্রুত এ সড়কটি সংস্করণের দাবি জানাচ্ছি।
কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে, তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন মহেশখালীবাসী।