জবি প্রতিনিধি
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন সামনে রেখে ভোট টানতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাওয়া ভ্রমণ আয়োজন করেছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মাওয়া ফেরিঘাট এলাকায় প্রকাশ্য প্রচারণা ও আপ্যায়ন করা ১১ (ঙ) এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ থেকে পাঁচ (০৫) টি বাসে করে দুই শতাধিক জবি শিক্ষার্থী কে নিয়ে যাওয়া হয় মাওয়া ফেরিঘাটে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে নদী ভ্রমণ ও খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করে ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের প্রার্থীরা।
জকসু নির্বাচন আচরণ বিধি ১১ এর ঙ তে স্পষ্ট বলা হয়েছে,”ভোটারগণকে কোনোরকম পানীয় বা খাদ্য পরিবেশন বা কোনোরূপ উপঢৌকন প্রদান করতে পারবেন না।”
এ সময় উপস্থিত ছিলো ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল এর ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব, এজিএস পদপ্রার্থী বি এম আতিকুর রহমান তানজিল সহ প্যানেলের অধিকাংশ প্রার্থী। এছাড়া ছাত্র দলের জবি শাখার কিছু নেতৃত্ববৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা এসময় তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালান। প্রচারণা পত্র, প্যানেলের ব্যালট নম্বর এবং প্রার্থীদের নামে কলম বিতরণ করেন। প্রচারণা শেষে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, মাওয়ার যাওয়ার সময় বাস চলাকালে ছাত্রদলের এক বড় ভাই আমাদের প্রার্থীদের ব্যালট, লিফলেট প্রচারণা করে। গতকাল রাতে ছাত্র দলের কিছু ভাই মেসেঞ্জারে দাওয়াত দেন। এসময় টি-শার্ট, রাফেল ড্র ও খেলাধুলার কথা উল্লেখ থাকলেও কোন কিছু করা হয়নি। প্রচারণা শেষে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল কে ফোন দিলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে আগ্রহ দেখায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের ভিপি প্রার্থী একেএম রাকিব বলেন, আমি মাওয়াতে আরেকটা কাজে গিয়েছিলাম। তো ওদের সাথে যেহেতু দেখা হয়েছে তাই কথা বলেছি। আমাদের প্রচারণার সময় যেভাবে ভোট চাওয়া হয় ঐভাবে করে কিছুই হয় নাই। দেখা হয়েছে আর দোয়া চেয়েছি।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার সহযোগী অধ্যাপক মো. আনিসুর রহমান বলেন, আমরা জরুরি মিটিং এ আছি৷ পরে কথা বলবো।