মাদারীপুর প্রতিনিধি -সৌরভ
মাদারীপুরে এনএসআই’তে চাকুরী দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারকচক্রের নারীসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলো, খুলনার পাইকগাছার লস্কারপুরের রবিউল ইসলামেন ছেলে মাসুদ পারভেজ (২৯), বরগুনার পাথরঘাটার জালিয়াঘাটা এলাকার আব্দুল আজিজ হাওলাদারের ছেলে শাহীন হাওলাদার (৩২), শাহীন হাওলাদারের স্ত্রী মোসাম্মদ শিরিন বেগম এবং মাদারীপুর সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম। আটক মাসুদ পারভেজ নিজেকে সেনাবাহিনীর কর্নেল, শাহীন হাওলাদার ও তার স্ত্রী শিরিন বেগম তারা দুইজন সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন বলে পরিচয় দিতেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানায়, সদর উপজেলার গোবিন্দপুরের আব্দুল হালিমের ছেলে রনি হোসেনকে এনএসআই’তে চাকুরী দেয়ার আশ্বাস দিয়ে মোটা অংকের ঘুষ দাবী করে একই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম। প্রাথমিক পর্যায়ে রনির কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেয় আব্দুল কাইয়ুম। পরে শনিবার সকালে কাইয়ুমের বাড়িতে আসা মাসুদ পারভেজ নামে ভুয়া সেনাবাহিনীর কর্নেল পরিচয়ে রনির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় কাইউম। তাদের সাথে থাকা শাহীন ও শিরিন নামের অপর দুইজনকেও সেনাবাহিনীতে কর্মরত হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। সবার কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে রনি ও আশাপাশের লোকজন মিলে ৪ জনকে আটকে রেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী রনি হোসেন জানান, আমার কাছ থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে কাইয়ুম। পাশাপাশি আমার মাথার চুল তারাই মেশিন দিয়ে ছোট করে কেটে দিয়েছে। এছাড়া মেডিকেল পরীক্ষাও তারাই প্রাথমিকভাবে সম্পন্ন করেছে। যা সবই ভুয়া ও প্রতারণা। বিষয়টি বুঝতে পেরে থানা পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়। পরে প্রতারকদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করি।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম মিঞা জানান, আটক চার প্রতারকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামী রয়েছে আরো একজন। সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আটককৃতদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, আটককৃতরা গ্রামের সহজসরল মানুষকে বোকা বানিয়ে চাকুরী দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিতো। এসব চক্রের কাছ থেকে সবাইকে সর্তক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।