☆ আব্দুল আলীম ☆
ভবদহের নামটি যারা
শুনেছেন ব্যাপক
তারাই শুধু জানেন সেথায়
আছে কি চমক।
ভবদহের
ষাট দশোকে লাখো চাষী
দেখলো সম্ভাবনা
স্লুইজ গেটে পানি আটকাবে
ফসল হবে আগোনা।
বছর বিশেক নোনা পানি
আটকালো তা বেশ
চাষীর ঘরে উঠলো ফসল
শান্তির পরিবেশ।
কিন্তু শেষে পলির পাহাড়
বাধলো গেটের মুখে
আশি নব্বই র বন্যা দিলো
সকল শান্তি রুখে।
জনগন সব এক হও
সরাও পলিমাটি
জোয়ার এলে ঘোলাও পলি
বাচুক বাস্ত ঘাটি।
ছয় নয় একুশ ফুকন
পলিতে সব ভরা
কান্না হল সংগের সাথি
কৃষক কর্ম হারা।
বাঁচার কি উপায় আছে
খোঁজো শেষমেশ
আটটির বেশী দফা দিলো
হাসকো- এসোসিয়েটস্।
সবার মাথায় ভাবনা দেখে
ভাবেন দেশের সরকার
বিলে বিলে ওঠাও পলি
করো জোয়ারাধার।
সাথে সাথে নদী বক্ষে
চললো ড্রেজার
সাতাশ বিলের সরবে পানি
ফলবে ফসল আবার।
কিষাণ কিষাণির সাথে সেথায়
আর্মি একাকার
ভাত কাপড়ের দুখ্ হেরিতে
করে অংগিকার।
শাপলা যখন ফোটে বিলে
নৌকা আনে ভ’রে
শহর ঘাটে বেচে তাহা
জঠর ঠাণ্ডা করে।
পলির পরে উঠলো গ’ড়ে
ভবদহ কলেজ
তার ছোয়াতে শিক্ষার্থিরা
পায় যে কিছু নলেজ।
ভবদহের কথা লিখতে
সময় লাগে বেশ
তাই তো আমি কলম রেখে
লেখা করলাম শেষ।
#সৌজন্যে : জেমস আব্দুর রহিম রানা, গণমাধ্যমকর্মী, যশোর।