মোঃ আতিক উল্লাহ চৌধুরী, চট্টগ্রামঃ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে মানবিকতার নতুন রূপ ফুটিয়ে তুলতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন শওকত হোসেন পিপিএম। বেওয়ারিশ ও অসহায় মানুষের কল্যাণ, নিরাপত্তা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা—এই লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে তিনি রাজনৈতিক প্রচলিত কাঠামোর বাইরে দাঁড়িয়ে নির্বাচন করছেন।
২৩ শে ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত ৯টায়, বেওয়ারিশ চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে এসে তিনি জনগণের সামনে স্পষ্ট করে বলেন—আমি কোনো রাজনৈতিক দলের নই। আমার কোনো দলবল নেই, নেই মোটরযান শোডাউন। মানবিকতার স্বার্থেই আমি সংসদে যেতে চাই।মানবিকতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার শওকত হোসেন পিপিএমের রাজনীতি কেবল ক্ষমতা কিংবা ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য নয়। তিনি চান এমন একটি রাষ্ট্র, যেখানে:কেউ চাঁদাবাজির ভয় পাবে না,সন্ত্রাসীর ভয়ে মানুষ মুখ বন্ধ রাখবে না,বেওয়ারিশ ও অসহায় মানুষ চিকিৎসা ও আশ্রয়ের জন্য রাস্তায় ভিক্ষা চাইতে বসবে না।তিনি বলেন,মানবিকতা যদি রাষ্ট্রের নীতিতে না থাকে, তাহলে উন্নয়ন শুধু সংখ্যার খেলা হয়ে যায়।ব্যক্তিগত ত্যাগ ও নিবেদননিজের জীবনকাহিনি তুলে ধরে তিনি বলেন,আমি আজ পর্যন্ত নিজের জন্য কোনো ঘর তৈরি করিনি। আমার সব উপার্জন ব্যয় করেছি বেওয়ারিশ ও অসহায় মানুষের চিকিৎসা, আশ্রয় ও পুনর্বাসনে।তিনি আরও জানান, নিজ জেলা নোয়াখালীতে যারা গৃহহীন, তাদের সকলের জন্য ঘর নির্মাণ সম্পন্ন করেই নিজের জন্য ঘর তৈরি করবেন।মানুষের মাথার উপর ছাদ না থাকলে আমার নিজের ছাদ তৈরি করার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।নির্বাচনী এলাকা ও লক্ষ্য শওকত হোসেন পিপিএম নোয়াখালী-৫ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী থাকলেও তিনি দাঁড়িয়েছেন একমাত্র বেওয়ারিশ মানুষের পক্ষে।আমি সব আসনের নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে মানবিকতার মডেল হিরো হতে চাই। আমার প্রথম কাজ হবে বাংলাদেশে একটি সরকারি বেওয়ারিশ হাসপাতাল তৈরি করা।মানবিক কার্যক্রমের বাস্তব প্রমাণ বর্তমানে তাঁর পরিচালনায় থাকা বেওয়ারিশ চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র–এ শতাধিক অসহায় মানুষ নিয়মিত চিকিৎসা ও সেবা পাচ্ছেন। এটি শুধু একটি কেন্দ্র নয়, বরং মানবিক রাজনীতির জীবন্ত উদাহরণ।প্রচলিত রাজনীতির বাইরে তিনি স্পষ্ট করে বলেন,আমি বিএনপি, জামায়াত, এনসিপির মতো কোনো দলের লোক নই। আমার কোনো শোডাউন নেই। আমি শুধু মানুষের পাশে, বেওয়ারিশ মানুষের জন্যই সংসদে যাচ্ছি।প্রচারণার কৌশলও রাজনৈতিক প্রচলনের বাইরে। তিনি বলেন,আমি সাধারণ পোশাকেই মানুষের দ্বারে দ্বারে যাব। লুঙ্গি পরেই যাব। যেভাবে বন্যার সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, ঠিক সেভাবেই চলব।লাইভে তিনি দেশের জনগণের কাছে দোয়া চেয়ে বলেন,আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করেই আমি দাঁড়িয়েছি। মৃত্যুর পথে থাকা মানুষের সহযাত্রী হয়ে। আপনারা দোয়া করবেন যেন মানবিকতার বাংলাদেশ গড়ার এই দায়িত্ব আমি শেষ পর্যন্ত পালন করতে পারি। বেওয়ারিশ মানুষের দোয়া থাকলে, আল্লাহ চাইলে ইনশাআল্লাহ সংসদে যাব।শওকত হোসেন পিপিএমের এই পদক্ষেপ শুধু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নয়। এটি একটি সামাজিক এবং রাজনৈতিক বার্তা—যেখানে ভোটের মানদণ্ড হয় ক্ষমতা, দল বা অর্থ নয়। মানুষের পাশে থাকা, মানবিক কাজ এবং সেবা—এখন ভোটের সবচেয়ে বড় মানদণ্ড।বাংলাদেশে একটি চাঁদাবাজ-মহাজন ও সন্ত্রাসমুক্ত মানবিক সমাজ গড়ার স্বপ্ন নিয়েই এই যাত্রা শুরু হয়েছে। বেওয়ারিশ মানুষের দোয়া ও সাধারণ জনগণের ভালোবাসা নিয়ে শওকত হোসেন পিপিএমের মানবিক উদ্যোগ হয়তো একদিন দেশের রাজনীতিতে এক নতুন মানবিক মাত্রা স্থাপন করবে।