ঢাকাশুক্রবার , ৩ মে ২০২৪
  1. সর্বশেষ

মিজান’র রক্তের ফেরিওয়ালা হওয়ার গল্প

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২:১৫ অপরাহ্ণ

Link Copied!

মোঃ মেহেদী হাসান, স্টাফ রিপোর্টারঃ

নওগাঁর পত্নীতলায় জরুরি রক্তের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে এ জেড মিজান প্রতিষ্ঠা করেন ‘রক্তের ফেরিওয়ালা’ নামে একটি সংগঠন। আজ থেকে পঁচিশ বছর আগে রক্তের অভাবে প্রতিবেশীর প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় কাজ শুরু করেন এ জেড মিজান। এ জন্য কল সেন্টারও করেছেন তিনি। তার সংগঠনের স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সদস্যের প্রায় ৪ হাজার। ডাক পেলেই রক্তদানের জন্য তৈরি তারা। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পত্নীতলায় এ জেড মিজানের চেম্বারে কথা হলে তিনি সংগঠনের গল্প শোনান।

২০১৩ সাল থেকে চলছে এই মিজানের কল সেন্টার। রোগীর জরুরি প্রয়োজনে রক্তদাতা খুঁজে দেন মিজান। প্রতিদিন দোকান থেকে ফিরেই সময় দেন কল সেন্টারে (০১৭১৮০৭৪১৭০)। সপ্তাহের সাত দিন প্রায় ২৪ ঘণ্টা কল সেন্টার খোলা থাকে। এ জেড মিজান বলেন, ‘কল সেন্টারে প্রতিদিন অনেক মানুষ ফোন করেন। কিন্তু আমার পক্ষে সবার জন্য রক্তদাতা খুঁজে দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।’

উপজেলার নজিপুর পৌর এলাকার কলোনীপাড়ার বাসিন্দা এ জেড মিজান। রক্ত দেওয়া ও সংগ্রহের প্রয়োজনে ছুটে চলেছেন শহর থেকে গ্রামে। কখনো নিজে রক্ত দেন, কখনো রক্তদাতা নিয়ে পৌঁছে যান হাসপাতালে।

১৯৯৭ সালে মিজানের প্রতিবেশীর সন্তান হওয়ার পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে জরুরিভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন পড়ে। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও রক্ত সংগ্রহ করতে না পেয়ে মারা যান ওই প্রসূতি মা। এই ঘটনায় মন খারাপ হয় মিজানের। পরে দিনে দিনে গড়ে তুলে ‘রক্তের ফেরিওয়ালা’ সংগঠনটি।

ডা. আতাবুল, আনিছুর, জামাল, কামাল, কাদের, রায়হান সব বন্ধুসহ ছোট বড় ভাই-বোন ও পরিবারের সবাই মিজানের ডাকে সাড়া দেয়। তাদের নিয়েই শুরু পথচলা। ফেসবুকে ‘রক্তের ফেরিওয়ালা’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিয়মিত পোস্ট করার পর রক্তদাতার সংখ্যা বাড়তে থাকে। মিজান জানান, এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৮৩০ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করে দিয়েছেন তিনি। এই সংগ্রহ অভিযান এখনো চলছে।

মিজান কাজ শেষ করে তার গড়া চেম্বারে রাত ১টা পর্যন্ত সময় দেন। কারো রক্তের প্রয়োজন হলে তালিকা অনুযায়ী আগ্রহী রক্তদাতাদের সহযোগিতায় স্বেচ্ছায় রক্তদানে উৎসাহিত করেন। একটি দলের এসে ধীরে ধীরে রক্তদাতারা একে অপরের বন্ধু হয়ে উঠেছেন। তাদের এক মিলনমেলায় হাজির হন প্রায় ২ হাজার রক্তদাতা। তাদের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ।

মিজান বলেন, ‘শুরুতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটন সরকার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ নিয়মিত রক্ত দিয়ে আমাকে উৎসাহিত করেছেন। প্রয়োজনে তাদের পাশে পেয়েছি। বর্তমান ইউএনও রুমানা আফরোজ সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে কার্যক্রমের খোঁজখবর রাখেন।’

526 Views

আরও পড়ুন

চট্টগ্রাম উত্তর জেলায় ছাত্র অধিকার পরিষদ এর নতুন কমিটি

পেকুয়ায় বজ্রপাতে দুই লবণ চাষির মৃত্যু

গাইবান্ধায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান মে দিবস পালিত

আলোচিত মিল্টন সমাদ্দার গ্রেফতার

নওজোয়ানের সংবর্ধনায় চবি ভর্তি পরীক্ষায় ১ম স্থান অর্জনকারী মোবারক হোসাইন

শুধু গরমে গাছের গুরুত্ব নয়, গাছ লাগাতে হবে সারাবছর

বিশ্ব শ্রমিক দিবস : একটি পর্যালোচনা

কুবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

তীব্র তাপদাহে বাড়ছে রোগী : বারান্দা-মেঝেতে একের স্থানে তিন

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড চুয়াডাঙ্গায় ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস

দোয়ারাবাজারে ধ’র্ষ’ণের পর কলেজ ছাত্রী খু’ন, খু’নী লিটন আটক!

দোয়ারাবাজারে চেলানদীতে ভেসে উঠলো নিখোঁজ ব্যবসায়ী মঈন উদ্দিনের লা’শ