———–
শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি::
নাইক্ষ্যংছড়ি প্রাণ কেন্দ্রের একমাত্র কওমি মাদরাসা-‘আল্ মারকাজুল ইসলামী দারুসছুন্নাহ মাদরাসা’র প্রতিষ্ঠাতা মোহতামিম ও ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ক্কারী মাওলানা মো: কলিম উল্লাহ মাতবর এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার(২২ মার্চ)দুপুর ২টায় নিজ গ্রাম নাইক্ষ্যংছড়ি সদর উপজেলার রেষ্ট হাউজ সংলগ্ন পর্যটন এলাকায় আল মারকাজুল জামে মসজিদ
প্রাঙ্গণে জানাজার পর সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।
মৃত্যুকালে স্ত্রীসহ ১ কন্যা, ২ পুত্র ও অনেক গুণগ্রাহী রেখেছেন তিনি।
হজার হাজার জনতার উপস্থিতিতে মরহুমের সুযোগ্য পুত্র ও নবনির্বাচিত মসজিদ ও একাডেমিক পরিচালনা কমিটির প্রধান পরিচালক হাফেজ মাওলানা মো : জালাল উদ্দীন মাতবর জানাজা নামাজের ইমামতি করেন। জানাজায় অংশ নিতে চট্টগ্রামের পটিয়া মারকাজুল ইসলামীয়া মাদরাসা মহোতামম, শায়েখ ও মুহাদিস গণ উপস্থিত ছিলেন।
ক্কারী মাওলানা মো: কলিম উল্লাহ মাতাবরকে শেষবারের মতো দেখতে হাজারো জনতা উপস্থিত হয়েছিল জানাজা মাঠে। তার জানাজায় অংশ নিতে জনস্রোতে পরিণত হয়েছে মাদরাসারর একাডেমিক মাঠ।
জানাজায় স্থানীয় আলেমরা ছাড়াও চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটে আসেন হাজারো আলেম ও ছাত্র-জনতা।
এছাড়া রামু,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জনপ্রতিনিধিসহ দেশের বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম ও বিপুলসংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেন।
জানাজা নামাজ পূর্ব বক্তব্যে বক্তারা বলেন, ক্কারী মাওলানা মো, কলিম উল্লাহ মাতাবর (রা.) সারাজীবন দীনের ওপর অবিচল থেকেছেন। কওমি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক ও পড়ালেখার উন্নতির জন্য নিরলস পরিশ্রম করেছেন। সর্বদা সুন্নতের অনুসরণ ও তাকওয়াকে অবলম্বন করে জীবন পরিচালনা করেছেন।
এর আগে শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম সি, এস,সি,আর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ক্কারী মাওলানা মো, কলিম উল্লাহ মাতাবর । মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। মৃত্যুকালে স্ত্রীসহ ১ কন্য ২পুত্র ও অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি ।
রবিবার দিবাগত রাত ৩টায় চট্টগ্রাম থেকে নাইক্ষ্যংছড়িতে তার লাশ আনা হলে শেষবারের মতো তাকে দেখতে নাইক্ষ্যংছড়ি-রামুর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুভানুধ্যায়ীরা ভীড় করেন।
এলাকার সমাজপতি ও বিজিবি স: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাওলানা মো,নুরুল বাশার বক্তব্যে বলেন, কওমি মাদরাসার সনদের স্বীকৃতি আদায়সহ কওমি শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে মরহুমের বিশেষ অবদানের কথা আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। দীনি শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে মরহুমের বিশেষ অবদানের কথা সমাজ এবং উপজেলার মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে।