রোকনুজ্জামান সবুজ,জামালপুর ঃ
পৌষের কনকনে শীত আর ঘন কোয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইসলামপুর। গত ক’দিন ধরে তীব্র শৈত্য প্রবাহ ও ঘণ কুয়াশায় উপজেলার কোথাও কোন সূর্য দেখা যাচ্ছে না। উপজেলার অধিকাংশ এলাকা নদীভাঙ্গা বন্যাকবলিত প্রত্যন্ত চরাঞ্চল তাই অতিদরিদ্র মানুষ গুলো কনকনে শীত আর ঘণকোয়াশায় জবুথুবু হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনেকেই শীত বস্ত্রের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। শীতে সবচেয়ে আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা।
ইসলামপুরের উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা রয়েছে। তারমধ্যে প্রায় ৬টি ইউনিয়ন যমুনা নদী বেষ্টিত। খুব অল্প সময়ের জন্য সূর্য দেখা গেলেও নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কেউ ঘর থেকে বেরোচ্ছে না। এসব এলাকার কয়েক হাজার অসহায় স্বল্প আয়ের মানুষ গুলো হাড় কাঁপানো কনকনে শীতের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তীব্র শীতে জুবুথবু হয়ে পড়েছে ইসলামপুরে মানুষ।
এ উপজেলা সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল্য। তাই সরকারী শীত বস্ত্রের পাশাপাশি বেসরকারী উদ্যেগে শীতার্থ মানুষের পাশের্^ দাঁড়ানের অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসি। যমুনা পাড়ের দিনমজুর আবুল হোসেন বলেন, যমুনার দ্বীপ ‘চরে আমরা কয়েক হাজার মানুষ কঠিন শীতের মধ্যে ভীষণ কষ্টে আছি।
এবিষয়ে বেলগাছা,চিনাডুলী ও সাপধরী ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, যমুনা চরঅঞ্চলে অনেক শীতার্ত মানুষ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশের বিত্তবান লোকদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন।
মন্ডলপাড়া গ্রামের সুফিয়া বেগম বলেন, আমাগো গরম কাপড় নাই, একবেলা ‘না খাইয়া থাকা যায়, কিন্তু জারের (শীতের) কষ্টত ঘুম ধরে না রাতে।