ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২ মে ২০২৪
  1. সর্বশেষ

হারিয়ে যাচ্ছে দেশী গাব গাছ!!

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
১২ মার্চ ২০২১, ৩:২৬ অপরাহ্ণ

Link Copied!

অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটনঃ

মহান আল্লাহর সৃষ্টি অনেক সুন্দর। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য সবই আল্লাহর অশেষ দান। আল্লাহতায়ালা মানুষের প্রয়োজনেই প্রকৃতির নানা উপাদানের সৃষ্টি করেছেন। মানুষ প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। প্রকৃতিকে মানুষ ভালো বাসে। প্রকৃতির মাঝে মানুষের বসবাস। এই প্রকৃতির সৌন্দর্য নিয়ে কবি লেখেন প্রেমের কবিতা, গীতিকার লেখেন গান। প্রকৃতির নান্দনিকতায় হারিয়ে যায় রোমান্টিক মানুষ। প্রকৃতির অলংকার ও অনন্য এক সৃষ্টির নাম গাব গাছ। একসময় আমাদের দেশের গ্রাম-গঞ্জের সর্বত্রই দেশী গাব গাছ দেখা যেতো। বর্তমানে দেশী গাব গাছ যেন প্রায় বিলুপ্তির পথে। বিভিন্ন এলাকায় এখনো পুরাতন দেশীয় অনেক গাব গাছ কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে। গাব গাছের কচিপাতা দেখতে দারুণ লাগে । গ্রীষ্মকালে গাব গাছের কচিপাতা দেখে মনে হয় প্রকৃতি যেন নতুন সাজে সজ্জিত হয়েছে। এ সময় গাব গাছের কচিপাতা দেখে মনে হয় শিল্পীর তুলিতে আকাঁ কোন নতুন ছবি। নতুন গজানো পাতার ছবি দেখে মনে হয় – রঙেরা হেসে হেসে , নেচে নেচে খেলা করছে। গাব গাছের কচিপাতারা যেনো রঙিন শাড়ী পড়ে হাতছানি দিয়ে প্রকৃতি প্রেমিকদের ডাকছে। অনেক সময় বনে-জঙ্গলে প্রাকৃতিকভাবে গাব গাছ জন্ম নিয়ে বেড়ে উঠে। বর্তমানে সখ করে দেশী গাব গাছ লাগানোর প্রবনতা খুবই কম। তবে বর্তমানে বিদেশী গাব গাছ লাগানোর দিকে ঝুঁকছে মানুষ । বিদেশী গাব গাছ দেশী গাব গাছের মতো এত বড় হয়না। বিদেশী গাব অনেক মিষ্টি ও সুস্বাদু। এর চাহিদা ও অনেক। দেশি গাব গাছের কাঠ ঘরবাড়ি তৈরির কাজে লাগানো যায়। গাব একটি অতি পরিচিত দেশী ফল। গাব ফলে রয়েছে পুষ্টি ও ঔষধিগুণ।
দেশী গাব একপ্রকার সপুস্পক উদ্ভিদের ফল। গাবের আদি জন্ম স্থান ফিলিপাইন, দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া। সংস্কৃত ভাষায় গাবের নাম’ তিন্দুকা ‘, হিন্দি ভাষায় এর নাম’ গাব’, তামিল ভাষায় ‘তুম্বিকা ‘।
দেশী গাবের ভেরটা আঠালো ও চটচটে হয়। এতে কষ্টি কষ্টি ভাব বেশি থাকে। তাই দেশী গাব তেমন খাওয়া হয়না। তবে ভেষজ চিকিৎসায় গাবের ছাল কচিপাতার ব্যবহার দীর্ঘ দিনের। মাছ ধরার জাল শক্ত ও টেকসই করতে গাবের কষ ব্যবহার করতে দেখা যায়।দেশের বিভিন্ন এলাকায় গাব গাছের পরিচয়ে অনেক স্থানের নামকরণ করা হয়েছে। ঢাকার গাবতলী, নরসিদী শহরের গাবতলী মাদ্রাসা এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বেশী ঘন কালচে সবুজ রঙের পাতা বেশি থাকায় গাবগাছে উঠতে অনেকের মাঝেই একটু ভয় ভয় ভাব হয়। গা শিহরিত হয়ে উঠে। গাব ফলে রয়েছে পুষ্টি ও ঔষধি গুণ। গাব শারীরিক দুর্বলতা কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, রক্ত চলাচলে সহায়তা করে, হাইপার টেনশন কমায়, হজমে সহায়তা করে, ত্বকের যত্নে ও ক্যান্সার প্রতিকারে সহায়তা করে বলে জানাযায়। ডায়বেটিস রোগীদের জন্য কাঁচা ও পাকা গাব উপকারী। গাবের পাতা সিদ্ধ করা কাথ চর্ম রোগ সারাতে সাহায্য করে।

মোঃ শামসুল হুদা লিটন
সাংবাদিক, কলামিষ্ট ও গবেষক

572 Views

আরও পড়ুন

আলোচিত মিল্টন সমাদ্দার গ্রেফতার

নওজোয়ানের সংবর্ধনায় চবি ভর্তি পরীক্ষায় ১ম স্থান অর্জনকারী মোবারক হোসাইন

শুধু গরমে গাছের গুরুত্ব নয়, গাছ লাগাতে হবে সারাবছর

বিশ্ব শ্রমিক দিবস : একটি পর্যালোচনা

কুবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

তীব্র তাপদাহে বাড়ছে রোগী : বারান্দা-মেঝেতে একের স্থানে তিন

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড চুয়াডাঙ্গায় ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস

দোয়ারাবাজারে ধ’র্ষ’ণের পর কলেজ ছাত্রী খু’ন, খু’নী লিটন আটক!

দোয়ারাবাজারে চেলানদীতে ভেসে উঠলো নিখোঁজ ব্যবসায়ী মঈন উদ্দিনের লা’শ

সজিব মিয়ার কবিতা “মাটি”

ভয়াল ২৯ এপ্রিল নিহতের স্মরণে ধলঘাটা এসোসিয়েশন’র বিভিন্ন কর্মসুচী পালন

নাগরপুরে গাছ কাটা কেন্দ্র করে প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ২