আব্দুর রহিম রানা, যশোর:
গত এক সপ্তাহ ধরে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু ও বীজতলা নিয়ে বিপাকে পড়েছে প্রান্তিক কৃষকরা। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস বলছে, এমন প্রতিকুল
আবহাওয়ায় গবাদিপশুর বদহজম ও নিউমোনিয়া হওয়ার আশংকা রয়েছে। ইরি-বোরো আবাদ সফল করতে সদ্য বপনকৃত বীজতলাও প্রচন্ড ঠান্ডায় নষ্ট হতে চলেছে।
এদিকে, তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও ঠান্ডার প্রকোপ কমেনি। গত দুইদিন ধরে অল্পসময়ের জন্য সূর্য্যের দেখা মিললেও হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীতে ঠান্ডার প্রকোপ অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া বার্তায় বলা হচ্ছে, এবারও যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা মানুষের জীবনযাত্রা প্রায় অচল করে দেয়। এতে মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশু ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়ে।
সরেজমিনে মণিরামপুর ও রাজগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এমন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে গবাদিপশু গুলোকে পুরনো কাঁথা, কম্বল, ছালার চট, পুরনো জামা-গেঞ্জি, এবং যার যা আছে তাই দিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।
তবে সব থেকে বেশি সমস্যায় রয়েছে অল্পআয়ের মানুষেরা ও তাদের গবাদি পশুগুলো। কারণ অধিকাংশ গরীব, দরিদ্র মানুষের গবাদি পশু রাখার জন্য উপযুক্ত গোয়ালঘর নেই।
উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, প্রচন্ড শীত, সেই সাথে ঠান্ডা বাতাসে গরু-ছাগল নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে শীতের হাত থেকে বাঁচতে গরুর গায়ে ছালার চট দিয়েছি।
রাজগঞ্জের হানুয়ার গ্রামের কৃষক মফিজুর রহমান আমাদের প্রতিবেদক আব্দুর রহিম রানাকে জানান, এই শীতে মানুষের যেমন কষ্ট হয়, তার থেকে বেশি কষ্ট হয় গরু- ছাগলের। আমরাতো শীতে উষ্ণতা খুঁজতে পারি। কিন্তু গবাদিপশু গুলোতো পারেনা। তাই গবাদিপশু গুলোর গায়ে ছালার চট দিয়েছি।
রাজগঞ্জ বাজারের একজন পশু চিকিৎসক জানান, শীত বেশি পড়লে গরু-ছাগলের বিভিন্ন রোগ বালাই দেখা দিতে পারে।
সেই সাথে কম খাওয়ার সমস্যা দেখা দাতে পারে। এজন্য গবাদিপশুদের দানাদার খাবার খাওয়ানো প্রয়োজন।