রোকনুজ্জামান সবুজ ,জামালপুর ঃ
জামালপুরের মেলান্দহে ৭ম শ্রেণির ছাত্র কিশোর ইয়াসিন ইসলাম আকাশ(১৪)কে হত্যার হুমকী দিয়ে জোরপূর্বক খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে। বৃহৎস্পতিবার সকালে ডিসি অফিসের সামনে জেলা ইত্তেফাকুল ওলামা এর আয়োজন করে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-ইত্তেফাকুল ওলামা জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ মুফতি শামসুদ্দিন, সাধারন সম্পাদক হাফেজ মওলানা মোহাম্মদ আলী খান, জামালপুর বড় মসজিদের ইমাম মুফতি আব্দুল্লাহ, ইত্তেফাকুল ওলামার সদস্য মুফতি শরিফুল ইসলাম প্রমুখ। জোরপূর্বক শিশু-কিশোরদে এভাবে ধরে নিয়ে খ্রিষ্টান বানানোর পিছে বাংলাদেশকে অস্থিশীল পরিবেশ সৃষ্টির একটি ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন সচেতন মহল।
উল্লেখ্য, মেলান্দহের শ্যামপুর হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির কিশোর ছাত্র ইয়াসিন ইসলাম আকাশের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে নব্য খ্রিষ্টান জহির। একপর্যায়ে নব্য খ্রিষ্টান জহির সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে আকাশকে স্কুল থেকে ডেকে ডেফলা ব্রিজে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আকাশকে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণের প্রস্তাব দেয়। আকাশ রাজি নাহলে তাকে এবং তার নানা-নানীসহ স্বজনদের হত্যার হুমকী দিয়ে অপহরণ করে খ্রিষ্টান গির্জায় নিয়ে যায়। সেখানে আকাশকে বাইবেল হাতে দিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করায়। একই সাথে তাকে এক লাখ টাকা দিয়ে তার বুক ও হাতের উপর ক্রুশবিদ্ধ লগু অঙ্কন করে দেয়। পরে সেই টাকা আকাশ জহিরকে ফেরত দিয়ে খ্রিষ্টান ধর্ম পালনে অস্বীকৃতি জানায়। এ সময় জহির আকাশ ও তার স্বজনদের হত্যার হুমকী দিলে মানষিকভাবে সে ভেঙ্গে পড়ে। বিষয়টি আকাশের স্কুল শিক্ষক ও সহপাঠিদের মাঝে প্রকাশ করলে এলাকাবাসির মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।এ ব্যপারে ১৬ সেপ্টেম্বর আকাশের মা আঞ্জুয়ারা বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরদিন ১৭ সেপ্টেম্বর পুলিশ ব্যপস্টিক জহিরকে গ্রেফতার করে। ১৮ সেপ্টেম্বর কারাগারে প্রেরণ করেছে।