—————-
আমি সেই কামিনী
আমি দুর্গেশ নন্দিনী।
যোদ্ধার হাতের তলোয়ার আমি;
আমি অগ্নিবীণা।
রণ প্রান্তরের প্রলয় আমি,
আমিতো স্বর্গ সীমানা।
আমি রবি-শশী দেখে বাঁচতে শেখার
নতুন উদ্দীপনা।
আর মশী হাতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে
কবির লেখা কবিতা।
আমি একাত্তরের অকুতোভয়ী;
বিদ্রোহী বীরাঙ্গনা,
যে জীবন দিতে প্রস্তুত
তত্রাচ সম্ভ্রম দিতে না।
আমিতো অসুরের বুকের রক্ত ঝড়ানোর
সাহসী সম্ভাবনা।
যে সত্যের জন্য নির্মল
তবু অসত্য সহে না।
আমিযে এক অমর আহূতি
ঈশ্বর দেবতা হতে,
যত অবিচার আর সমর থেকে এসেছি ধরিত্রী রক্ষার্থে।
আমি চির উন্নত শির হিমালয় জয়ী
মহাযাত্রার পথে,
এই অভয় প্রাণ ভয় করেনা
অভ্র কি অতলে।
কতযে ভূ-অতল সব ছাড়িয়ে
আমি করেছি শূন্য জয়
এ দুরূহে পিছু হটিনি একটিবারও
জেনেও জনম ক্ষয়।
এই আমি নিত্য লক্ষ্মী সীতা
জায়া হয়ে ঘর কোণে;
করেছি জয় বিশ্ব ব্রহ্ম
তবু মানিনা পরাজয়ে।
আমিতো সেই সাহসী ললনা
যে ছাড়িয়ে নিয়তি জাল,
গড়েছি জীবন নিজের হাতে
হইনি পর নির্ভর।
আমি দুষ্প্রয়াসী, দুঃসাহসী
আমি দুর্ধর্ষ মেয়ে,
যে অকাল দিনে করেছে লড়াই কালী দূর্গার বেশে।
আমিতো সেই অতুল দেবী, সুহাসিনী
বিভাষিত দু নয়নে
আমি দুঃখকে পড়িয়ে লোউহলৌহ শিকল
সুখকে বিলাই অন্যে।
আমিই সেই দুঃখিনী মা
যে শত দৈন্যের মাঝেও,
করেনা গ্রহণ অন্ন-আহার
সন্তানেরে রেখে।
এইতো আমি বঙ্গ ললনা
শতরূপা এই আমি,
চক্ষু যুগলে ঈর্ষা নয়
রয়েছে সম্ভাবী।