পারিবারিক গোরস্থানে
তাহমিদ ইসলাম
কলেমা পড়তে পড়তে একদল মানুষ দেহ বহন করছিল,
আনা হলো পারিবারিক গোরস্থানে।
পূর্বপুরুষের সঙ্গের কথা ভাবে ভালোই লাগছি।
ওদের কালিমার ধ্বনি বন্ধ হল,
দেখলাম বিশাল সুনিপুণ জ্যামিতিক গর্ত,
পেটের টানে দুজন কারিগর এ কাজে লিপ্ত ছিল।
বোধ হয় এক যুগ ওরা ফজরের আযান শুনে।
কিছু শীতল হস্ত ছুয়ে দিল শীতল দেহ যেন হৃদপিণ্ড কেঁপে উঠলো।
ওরা সযত্নে আমায় জমিনে রাখল
যেমন জন্মের পর নার্স রেখেছিল মায়ের কোলে,
তখন এর মত এখনও আমি ভীত এবং কৌতুহলী।
ভেবেছিলাম ওরা ছেড়ে যাবে না,
কিছুক্ষণ পর ইমামের আবেগী কান্নার মোনাজাতের সাথে
পরিবেশ নীরবতার স্বাদ আবার পেল।
হঠাৎ দুজন নীল অক্ষিপট নিয়ে হাজির,
মৃত্যু না হলে আবার মৃত্যু হতো আমার।
প্রশ্ন হল,”মান রাব্বুকা”
ভয়ে সব মিলিয়ে গেল একটু আগের জনস্রোতের মতন।
নিরবতা বন্ধ হল ফুসফুসের মতন।
ফুসফুসে বিষাক্ত হওয়ায় আসতেই মস্তিষ্ক ফেটে পড়লো।
দূরে এক বিশালাকার সাপ,
কিছু ভেবে উঠার আগেই চলে গেলাম সাত তবক জমিনের আন্ধারে।
এখন শুধু জুম্মার আশায় থাকি শৈশবের মতন,
মানুষের সালামের আশায় থাকি।
পৃথিবীর জীবন্ত লাশ এদের মতন-
আমি আজও চিৎকার করি-বারবার মরি।
আমি সেই অলস,দুর্ভোগী আত্মা।