মনের আনন্দে নেচে নেচে,
কে আসে আর যায় রে?
আমি হলাম মেঘবালিকা,
মেঘদলও আছে ভাইরে।
আষাঢ়েতেই ভ্রমণ আমার,
শ্রাবণেতেই শেষ।
অন্য সময় ক্লান্ত থাকি,
পায়না তেমন রেশ।
ওই শুভ্র মেঘ বালিকা,
একটু গিয়ে থেমে!
আমায় সঙ্গে নাও না তুমি…
নিচে একটু নেমে।
মেঘবালিকা রুক্ষ গলায়..
ওই ছেলে তুই পাগল নাকি।
জানিস না মোর জীবনগাথা,
নিচে নামলেই জীবনের ঝুঁকি।
মেঘবালিকার প্রস্থান শেষে,
সূয্যিমামা উঠলো হেসে।
চোখেতে মোর স্বপ্ন আঁকা,
একটু পরেই পাখির দেখা।
এই বুঝি রে গেলাম উড়ে,
চাঁদের দেশে, ডানায় চড়ে।
পাখিগুলোও আমায় দেখে,
চললো নিরুদ্দেশ একলা রেখে।
ইচ্ছে ছিল উড়ব আকাশ,
দেখব মহাকাশ, প্রাণ ভরে।
এখন শুধুই কাগজ উড়ে,
উড়োজাহাজের রূপ ধরে।
মাঝে মাঝে ঘুড়িও উড়াই,
আর আমি…
যেমন ছিলাম তেমনই আছি;
স্নিগ্ধ এই মাটির বুকেই।