ডি এইচ মনসুর, আনোয়ারা(চট্টগ্রাম) :
করোনাভাইরাস আতংকে ভেঙে পড়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা ব্যাবস্থা। ডাক্তার শূণ্য হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে সেবা নিতে আসা রোগীরা।
উপজেলার একমাত্র সরকারি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাধারণ মানুষের একমাত্র ভরসা হলেও ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে রোগিরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার(৩০ এপ্রিল)সকাল সাড়ে ১০ টায় সরেজমিনে গিয়ে আনোয়ারা হাসপাতালে দেখা যায়, বহি:বিভাগে কোন ডাক্তার না থাকায় রোগী শূণ্য বহি:বিভাগ। জরুরী বিভাগেও যথাযথা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। ইনডোরে গিয়ে দেখা যায়, মহিলা ওয়ার্ডে কয়েকজন রোগী ভর্তি আছ,শিশু ও পুরুষ ওয়ার্ডে কোন রোগী নেই।
বটতলী এলাকার বাসিন্দা মাসুদুল আলম অভিযোগ করে বলেন, আজ সকালে আমার ভাগিনা তামিমকে আনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে কর্মরত ডাক্তারা তাকে ধরেও দেখেনি, পরে প্রাইভেট ডাক্তার থেকে চিকিৎসা করে বাসায় নিয়ে আসি।
করোনা ভাইরাসের আতংক ছড়িয়েছে সাধারণ জনগণের মাঝে। তাই সাধারণ রোগের লক্ষণে আতংকিত হয়ে তারা ছুটছেন হাসপাতাল। হাসপাতালে গিয়ে সেবাদাতাদের অসহযোগিতা আর বিরূপ আচরণে ক্ষুদ্ধ রোগী ও স্বজনরা। এ ধরণের পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতির পর থেকে বিগত কিছুদিন ধরে ৩/৪ জন ডাক্তার চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। বহি:বিভাগে বসে না কোন ডাক্তার। ফলে চিকিৎসা না পেয়ে অনেক রোগীকে বাড়ী ফিরে যেতে হয়।
আতংকের মাঝে আনোয়ারা হাসপাতালের এই জোড়াতালির চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে হতাশা দেখা দিয়েছে। আনোয়ারা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু জাহেদ মোহাম্মদ সাইফুদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনার ঝুঁকি এড়াতে হাসপাতালের জনবল কমানো হয়েছে। তাই আউটডোরের পরিবর্তে রোগীদের জরুরী বিভাগে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দেয়া হচেছ। তা ছাড়া ফ্লু কর্ণার চালু আছে।
আনোয়ারা হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থায় ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।