———————————-
করোনা ভাইরাস সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়। বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বাংলাদেশের জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়,রাজধানী ঢাকার আশেপাশের জেলাগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।এর মধ্যে জেলা ভিত্তিক আক্রান্তের সংখ্যা অনুযায়ী কিশোরগঞ্জ ৪ নম্বর পজিশনে আছে।
এ পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৭৯ জন। প্রতিনিয়তই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ঝু্কিপূর্ন একটি জেলা হওয়া সত্ত্বেও করোনা ভাইরাস টেস্ট করার জন্য নেই কোন ল্যাব।রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টার(এনআইএলএম এন্ড আরসি) ল্যাবে পাঠানো হয়।নমুনা সংগ্রহের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পরীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশিত না হওয়ায় নমুনাদাতা ও স্বজনসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্ক দেখা দিচ্ছে।
সম্প্রতি ২১ এপ্রিলের নমুনার রিপোর্ট ৩০ এপ্রিল প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া প্রতিদিনই করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লক্ষন নিয়ে শতশত রোগী ভীড় জমাচ্ছে। কিশোরগঞ্জ জেলার মতো একটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যদি টেস্ট ল্যাবসহ পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা না দেওয়া হয়, তাহলে দিনদিন পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। তাই স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করছি যতদ্রুত সম্ভব কিশোরগঞ্জ জেলায় করোনা টেস্ট ল্যাবসহ পর্যাপ চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
——————–
মোঃ আল আমিন হোসেন
কিশোরগঞ্জ, পুলেরঘাট ।
ছাত্র,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ।
(লেখকের একান্ত নিজস্ব মতামত)