সম্ভবত রাত সাড়ে ৯টা। কক্সবাজারের কলাতলী মোড়ে ব্যস্ত মানুষের ঢল। কেউ ভাবেনি একটু পর স্থানটি মৃত্যুকূপে পরিণত হবে। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে কলাতলীর মোড় পত্রিকার পাতায় পাতায় শিরোনাম হয়ে গেল। সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক চাপায় নিহত দুইজন আহত অসংখ্য।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, একটি বড় ট্রাক রাস্তা থেকে ফুটপাতে থাকা সাধারণ মানুষদের উপর তুলে দেয়। ট্রাকের নীচে অনেকে পড়ে কাঁতরাচ্ছে। সুকৌশলে ট্রাক চালক ও হেলপার দৌঁড়ে পালালো। এই দৃশ্য দেখে দুর্ঘটনা নয় বরং সুকৌশলী হত্যাকান্ডই মনে হলো।
যে যেভাবে পারে উদ্ধার কাজে নেমে পড়ল। হঠাৎ শিশুটির দিকে নজর পড়তে আতকে উঠল সবাই। পা চাপা পড়ে আছে, আর শিশুটি অসহায় চোখে তাকিয়ে আছে সবার দিকে।
তখন ছেলেটি বলছিল, “আমাকে বাম হাত ধরে টানবেননা, ডান হাতে টানেন। আমি খুব কষ্ট পাচ্ছি”। খুব ধীরে কথা বলছে সে। অথচ তার বাম পা চাপা পড়ে ভেঙ্গে গেছে। রক্তাক্ত দেহ তার। কি ভয়ংকর ও হৃদয়বিদারক দৃশ্য। পরে তাকে উদ্ধার করে সদরে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ছেলেটির বাড়ি মহেশখালীর বড়মহেশখালী ইউনিয়নের ফকিরাকাটা গ্রামে বলে জানা যায়।
আর কত সড়কে প্রাণ ঝরবে। আর কত স্বপ্ন সড়কে ভেঙ্গে যাবে। আর কত লাশের মিছিল দেখবো। আমরা চাইনা এসব আর। সড়কের মৃত্যু বন্ধ করতে সরকারের কার্যকর ভূমিকা চাই। নইলে এসবের দায় এড়ানো যাবেনা কোন ভাবে।
লেখক-
এস. এম. রুবেল
সংবাদকর্মী