অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটনঃ
ধাধার চরের কৃষকদের আগ্রহের ফসল খেসারী ডাল ও খেসারী সবজি। উৎপাদন খরচ কম থাকায় শীতকালে চরের কৃষকগণ অনেক জায়গা জুড়ে খেসারী ডাল চাষ করে থাকেন। এটা ডাল জাতীয় ফসল। অন্য ডালের তুলনায় খেসারী ডাল দামে কম থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে খাদ্য হিসেবে এর ব্যবহারও অনেক বেশি। এ কারনে আমাদের এলাকায় খেসারীকে গরীরের ডাল বলা হয়ে থাকে। ধাধার চরের কৃষক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ পরাগ আহমেদ জানান, ধাধার চর খেসারী চাষের জন্যে বিখ্যাত। এ চর শীতকালে খেসারী চাষের জন্যে খুবই উপযোগি স্থান। খেসারী গাছের কচি ডগা সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। ধাধার চরের কৃষক খেসারী গাছের কচি ডগা সবজি হিসেবে বাজারে বিক্রি করে প্রচুর অর্থ আয় করে থাকেন। সবজির চাহিদাও অনেক।
ডাল জাতীয় শস্য খেসারীর বৈজ্ঞানিক নাম – Lathyrus sativus. পৃথিবীতে বাংলা, বিহার, উরিষ্যা অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি খেসারী চাষ হয়ে থাকে। এটা মূলত আমাদের এলাকার আদি ডালজাতীয় খাদ্য শস্য।আমীষ জাতীয় খাদ্য শস্য হলো এই খেসারী। মাংস আমিষ জাতীয় খাদ্য। দেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে মাংস থেকে তাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় আমীষের চাহিদা পূরণ করতে পারে না। কিন্তু কম দামের খেসারি ডাল মাংসের বিকল্প হিসেবে আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারে। এ কারণে এর চাহিদাও অনেক। ধাধার চরের কৃষকদের উৎপাদিত খেসারী ডাল স্থানীয় এলাকার সাধারণ মানুষের আমিষের চাহিদা মিটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তবে অনেকই বলছেন, খেসারী ডাল বেশি খাওয়া ভালো নয়। বেশি পরিমাণে খেলে চোখের দৃষ্টি শক্তির সমস্যা হতে পারে।
অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটন
সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক।
০১৭১৬৩৩৩১৯১