অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটনঃ
ধনিয়া একটি অতি পরিচিত ও নিত্য প্রয়োজনীয় মসলা। পুষ্টিকর মসলার মধ্যে ধনিয়া অন্যতম। ধনিয়া আমাদের তরকারী রান্নার অনুষঙ্গ। খুব কম সময়ের মধ্যে মসলা ফসল হিসেবে পধনিয়া উৎপাদন হয়।
ধাধার চর ধনিয়া চাষের জন্যে খুবই উপযোগি। ধনিয়ার কচিপাতা ও ফুল ধাধার চরের অলংকার। এই মসলা ফুলের গন্ধ মাতোয়ারা করেছে ধাধার চর, চরের কৃষক, কৃষাণী ও ভ্রমণ পিপাসুদের। মসলা ফুল ও কচি পাতার ঘ্রাণে মুহিত করেছে প্রকৃতিকে।
ধনিয়া মূলত শীতকালীন রবি ফসল। রবি ফসল হলেও বর্তমানে শীতকাল ও গ্রীষ্মকাল এর আবাদ হয়ে থাকে। বারোমাসই ধনিয়া চাষ করা যায়।
কাপাসিয়ার বৃহত্তম কৃষি খামার ধাধার চরের কৃষকগণ ব্যাপকভাবে ধনিয়া চাষ করে থাকেন। এ বছরও বরি শস্য হিসেবে ব্যাপকভাবে এর আবাদ হয়েছে ধাধার চরে। অনেক লাভজনক ফসল মনে করেই কৃষকরা এর চাষাবাদ করে থাকেন।
ধাধার চরের অনেক কৃষক ধনিয়ার কচিপাতা বাজারে বিক্রি করে প্রচুর অর্থ আয় করেন। ধনিয়ার কচিপাতার চাহিদাও প্রচুর । ধনিয়ার কচিপাতা সালাদ হিসেবে খাওয়া যায়। আবার তরকারিতে সুগন্ধি মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ধনিয়ায় রয়েছে ব্যাপক পুষ্টিগুণ। শরীরের ত্বক সুস্থ ও সতেজ, নির্মল অবস্থায় রাখতে ধনে পাতার উপকারীতা অনেক। যুগ যুগ ধরে মানুষ ধনে পাতার সুফল ভোগ করে আসছে।
বাঙালির নানা ধরনের তরকারির স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়াতে ধনিয়ার কচিপাতার ও গুড়ো মসলার ব্যবহার হয়ে থাকে। ধনেপাতার ভর্তা খুবই সুস্বাদু। যে কোন ভর্তায়ও এর ব্যবহার করা যায়।
ধনেপাতা রক্ত প্রবাহ থেকে ক্ষতিকর উপাদান গুলো দূর করে শরীরকে সুস্থ ও সতেজ নির্মল রাখতে সাহায্য করে। ধনে পাতায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও উপকারী খনিজ। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, লোহা ও ম্যাগনেশিয়াম।
ধাধার চরের সৌন্দর্যকে আরো বেশি সৌন্দর্যমন্ডিত ও সুশোভিত করেছে ধনে পাতার কচি পাতাও ফুলা। ধাধার চরের অলংকার ধনে ফুল। এ বছর বেশি বৃষ্টি হয়নি। পোকার আক্রমণ ও কম। তাই কৃষক ভালো ফলন হবে বলে বেশ আশাবাদী। ধাধার চরের অনেক কৃষকের অভিযোগ এ ব্যাপারে কৃষি অফিস থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা পায়নি।