অনলাইন ডেস্ক:
কুয়েতে কাজী মো. শহিদ ইসলাম পাপুল এমপি’কে ফাঁসানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ রয়েছে। মানব প্রাচার ও মানিলন্ডারিং এর অভিযোগে কুয়েত সিআইডির হাতে গত ৬ জুন শনিবার রাতে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার হওয়া লক্ষীপুর-০২ (রায়পুর) আসনের এই স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য’কে কুয়েতের আদালতে হাজির করা হলে তার কোম্পানির একাউন্ট থেকে কোম্পানিতে কর্মরত শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন পরিশোধ হয় বলে প্রমাণিত হয়েছে।
কিন্তু কুয়েতের আদালত বলছে, শহিদ ইসলাম এমপি’র পরিচালিত কোম্পানির একাউন্ট থেকে শ্রমিকদের বেতনের টাকা কেটে নেওয়া হলেও শ্রমিকরা তাদের বেতন পায় নি। এর প্রকৃত কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, শ্রমিক ও মালিকের মাঝখানে যে প্রকল্প পরিচালক ও ম্যানেজার ছিল তারা মালিকের কাছ থেকে শ্রমিকদের জন্য বেতন নিলেও শ্রমিকদেরকে তাদের ন্যায্য বেতন পুরোপুরি পরিশোধ করে নি। ফলে মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির প্রধান হিসেবে এর দায় এড়াতে পারছেন না শহিদ ইসলাম পাপুল এমপি।
আরো জানা যায়, ভিসা নিয়ে তার বিরুদ্ধে কুয়েতের আদালতে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা ইতোমধ্যে মিথ্যা ও বিতর্কিত বলে প্রমাণিত হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশে তার নিজস্ব কোন এজেন্সি নেই।তিনি ভিসাগুলো পাওয়ার পর বাংলাদেশের বিভিন্ন এজেন্সিকে দিয়েছেন এবং এজেন্সি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ভিসাগুলো ইস্যু করার পর কুয়েত দূতাবাসে গিয়ে ইন্টার্ভিউ দেওয়ার পর বৈধভাবে মানুষজন বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে গিয়েছে।
কুয়েত থেকে দেশে বিশাল পরিমাণ রেমিট্যান্স আনার ফলে তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম (এমপি) সিআইপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। যার ফলে কুয়েত সরকার এমপি পাপুলের উপর কিছুটা ক্ষিপ্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। কুয়েতের ভিসা বন্ধ থাকা সত্ত্বেও তিনি বিশেষভাবে ভিসা ব্যবস্থা করে দেশ থেকে অনেক মানুষকে কুয়েতে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। দেশে যখন একের পর এক চাকরী ছাটাই হচ্ছে তখন একজন সংসদ সদস্যের এমন উদ্যোগ প্রশংসার দাবী রাখে বলে মনে করছেন অনেকেই।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সবকিছু মিলিয়ে কিছু সঙ্গবদ্ধ চক্র কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল এমপি’র বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগে ফাঁসানোর মাধ্যমে কুয়েতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এদিকে, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সুষ্ঠ তদন্ত করে মূল হোতাদের খুঁজে বের করার জন্য দাবী জানিয়েছেন পাপুলের স্ত্রী ও বাংলাদেশের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম সিআইপি।