ঢাকাশনিবার , ১১ মে ২০২৪
  1. সর্বশেষ

আমদানি ও উৎপাদনের সমীকরণে পেঁয়াজ সংকট।

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

মেহেদী হাসান রাব্বি

২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বাংলাদেশকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। প্রতি কেজির জন্য ৩০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়েছে ক্রেতাদের। সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই চলতি বছর সেপ্টেম্বরে প্রায় এক বছরের মাথায় আবার একই পরিস্থিতির সম্মুখীন। আগামী বছর আবার এই পরস্থিতির স্বীকার হওয়া না হওয়ার বিষয়টি এখন কেবল প্রশ্নের অবকাশ রাখে। তাই প্রয়োজন সমাধান।

প্রথমতঃ দেশীয় কৃষির প্রতি গুরুত্বারোপ করা আবশ্যক। প্রতি বছর দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন।তন্মধ্যে দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে ২৪ লক্ষ মেট্রিক টন। মজুদ করার যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় পঁচে যাচ্ছে ৭-৮ লক্ষ মেট্রিক টন। যদি মজুদ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন সম্ভব হয় তাহলে দেশেই ২৪-২৫ লক্ষ মেট্রিক টন উৎপাদন সম্ভব। আর অতিরিক্ত আমদানির প্রয়োজন ৫-৭ লক্ষ মেট্রিক টন। পেঁয়াজ চাষীদের তালিকা করে তাদেরকে প্রয়োজনীয় উপকরণ,পরামর্শ এবং ঋণ প্রদানের মাধ্যমে আগ্রহী করতে পারলে এই আমদানিকৃত পিয়াজের পরিমাণ দেশেই উৎপাদন সম্ভব।যেহেতু নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে পেঁয়াজের ফলন ভাল হয় তাই তালিকা করাটা খুব বেশী ব্যয়বহুল কিংবা কষ্টসাধ্য নয়।

দ্বিতীয়তঃ পেঁয়াজ আমদানিতে ভারত-নির্ভরতা কমাতে হবে।প্রতি বছর ভারত নিজেরাই ৩৬ হাজার টন পেয়াজ আমদানী করে।আবার তারা বাংলাদেশের কাছে পেঁয়াজ রপ্তানিও করে। একই পণ্যের একাধিকবার ক্রয় বিক্রয়ে লাভ-ক্ষতির হিসাব টা না করাই শ্রেয়। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম “দ্যা প্রিন্স” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে যে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী বাংলাদেশকে আহ্বান জানান পেয়াঁজ ক্রয় করতে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়া পেয়াজ রপ্তানি বন্ধ করা যাবে না এমন চুক্তি থাকা সত্বেও তারাই বন্ধ করে আবার তাদের থেকে কেনার আহ্বানের মধ্যে একটা “কিন্তু” থেকেই যায়। সেই কিন্তুর উত্তর বাংলাদেশের চীন,নেপাল,মিশর,তুরস্ক থেকে নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া, না শ্যামবাজারের আমদানিকারক শংকর চন্দ্র ঘোষ এর দেয়া বক্তব্য “এখন যা আইতাছে টেম্পার ছাড়া (খাদ্যগুণ নষ্ট) পেঁয়াজ” তার সমীকরণটাও অমিলই থেকে যাক।

আমাদের চিনিকলগুলোর অবনতিতে পাটশিল্প এসেছে।পাটশিল্পের অবনতিতে চামড়া শিল্প এসেছে।চামড়া শিল্পের অবনতির আগেই মৎস শিল্প বিশ্ববাজার দখল করেছে।এদেশের কৃষকদের রক্তে মাংসে গড়া শিল্পকে ধ্বংস করা গেলেও কৃষকের উদ্যমী মনকে ধ্বংস করা যায়নি।আজও যদি এদেশের কৃষকদের যথাযথ অধিকার দেয়া হয় তারা যে কোন সময়,যে কোন পরিস্থিতিতে দেশের সকল সংকটকে তাদের হাড়ভাঙ্গা শ্রমের বিনিময়ে মোকাবেলা করে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের অবস্থান শিখর পর্যন্ত পৌছে দিতে কুন্ঠাবোধ করবে না।এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।

মেহেদি হাসান রাব্বি
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

99 Views

আরও পড়ুন

প্রথম ধাপে শেরপুরের দুই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা

শিক্ষকদের সাথে ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ’ অফিস সহকারীর, প্রশ্রয়ের অভিযোগ সাবেক বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে

বুটেক্সের প্রথম দিনের ভর্তি শেষে ৬০ শতাংশ আসন ফাঁকা

চট্টগ্রামে বিমান বিধ্বস্ত : নিহত এক পাইলট

চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমান: আশংকাজনক অবস্থায় দুই পাইলট

জেলা আ.লীগের সভাপতিকে হারিয়ে সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন এমপি পুত্র

নওগাঁর পত্নীতলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাফফার জয়ী

বিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পারভেজ কবীরের জয়

জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব উদযাপন বৃহস্পতিবার

তানোরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানসহ বিজয়ী হলেন যারা

বিশ্ব গাধা দিবস উদযাপন করবেন যেভাবে

গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ভোট বর্জন করলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম সেলিম