ঢাকামঙ্গলবার , ৭ মে ২০২৪
  1. সর্বশেষ
  2. বিশেষ সংবাদ

নাগরপুরে জনপ্রিয় হচ্ছে ‘তালকুশ’

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২৯ মে ২০২১, ৪:৪৭ অপরাহ্ণ

Link Copied!

নাগরপুর( টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি:

এসেছে মধুমাস। চলতি মাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে হরেক রকমের সুস্বাদু ফল। ফলের তালিকায় রয়েছে, আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু ছাড়াও অন্যতম আরেকটি ভিন্নধর্মী রসালো ফল তালের শাঁস। তালের নরম অংশটি খুবই সুস্বাদু। গ্রাম্য ভাষায় এটি ‘তালকুশ’ নামে বেশি পরিচিত। প্রচুর গরমে তালের এই শাঁসটি শহর ও গ্রামের মানুষের কাছে খুবই প্রিয়।

ওই দেখা যায় তাল গাছ, ওই আমাদের গাঁ, ওই খানেতে বাস করে কানা বগীর ছা’ গাঁয়ে এখন বকের ছানা থাক বা না থাক, টাঙ্গাইলের নাগরপুরে প্রতিটি এলাকায় তালগাছগুলোতে কচি তালে ভরে গেছে। মধুমাসের এ ফলকে কেউ বলে তালের শাঁস, কেউ বলে তালকুশ, আবার কেউ বলে তালের আটি।

বর্তমানে শহর থেকে শুরু করে গ্রামের বিভিন্ন অলিতে গলিতে এই মৌসুমি ফল তালের শাঁস বিক্রি বেড়ে গেছে। অনেক মৌসুমি ফল ব্যবসায়ীরা তাল গাছ থেকে অপরিপক্ক তাল পাইকারি কিনে এনে কেটে কেটে বিভিন্ন দামে বিক্রয় করেন।

তবে নরম অবস্থায় তাল শাঁসের দাম অনেক বেশি। কিন্তু দিন যতই যেতে থাকে এই তাল শাঁস ততই শক্ত হতে থাকে। তখন শাঁসের দাম কমতে থাকে এবং এক সময় তাল পরিপক্ক হয়ে গেলে তখন আর এই শাঁস খাওয়া সম্ভব হয় না।

গরমের মধ্যে তৈলাক্ত খাবারের চেয়ে তালের শাঁস অনেক উপকারী। এর রয়েছে অনেক গুণাগুণ। তাই জৈষ্ঠ্যের এ মধুমাসে বাজারে নানা ফল উঠলেও নাগরপুরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে তালের শাঁস। গ্রীষ্মের এই দিনে তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার।

উপজেলার কৃষকদের গাছের তালের শাঁস যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। শিশুসহ সব বয়সী লোকের মধ্যে এই তালের শাঁসের কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে। উপজেলার প্রতিটি গ্রামেই কম বেশি তাল গাছ রয়েছে।

শনিবার (২৯ মে) সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, বটতলা, কলেজ রোড ও তালতলা ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে এর চাহিদা অনেক বেড়েছে। বিক্রেতা শাঁস কেটে সারতে পারছে না, ক্রেতারা দাঁড়িয়ে রয়েছে শাঁস নিতে। তালের শাঁস বিক্রি করে অনেক হতদরিদ্র মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছেন।

তালের শাঁস বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম ও হোসেন আলী জানান, প্রতি বছরই এসময়ে তালের শাঁস বিক্রি করে সংসার চালান। গ্রাম অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে তাল কিনে গাছ থেকে পেরে এনে শাঁস বিক্রি করেন।

তবে গাছ ওঠে, বাঁধা ধরে পাড়া সবচেয়ে কষ্টকর। বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি থেকে জৈষ্ঠ্য মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এ এক মাস চলবে তালের শাঁস বিক্রির কাজ। প্রতিদিন প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ শাঁস বিক্রি করা যায়। একটি শাঁস ১০ ও ৫ টাকা দরে বিক্রি করছি।

এতে তার প্রায় ৫শ’ থেকে হাজার’ টাকা লাভ হয়। মধুমাসের অন্যান্য ফলের তুলনায় এই শাঁস পরিবারের সব সদস্যদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এটি নরম ও সুস্বাদু। সব বয়সের মানুষ এটি সহজে খেতে পারে। তুলনামূলকভাবে এর দামও হাতের নাগালে।

কিন্তু এই শাঁস বেশি দিন থাকেনা। তালের শাঁসের পুষ্টি গুনাগুণ সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পঃ পঃ কর্মকর্তা রোকুনুজ্জামান খান প্রতিবেদককে বলেন, তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানি শূন্যতা দুর করে।

এছাড়া ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, এ, বি কমপ্লেক্স সহ নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে। তালে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কচি তালের শাঁস রক্তশূন্যতা দুর করে। চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস প্রতিবেদককে বলেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় ৭০০ তালগাছ আছে। তবে ২৫ হেক্টর জমিতে তালগাছ রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত-ই-জাহান প্রতিবেদককে বলেন, উপজেলার বিভিন্ন সড়কে বজ্রপাত প্রতিরোধে কাবিখা প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২০০০ তালের বীজ রোপণ করা হয়েছে। এ বছর প্রত্যেকটি ইউনিয়নে আরো তালের বীজ রোপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

29 Views

আরও পড়ুন

আদমদীঘিতে স্বামী শ্বশুর ও ভাসুরের নির্যাতনে গৃহবধু এখন হাসপাতালে

ফিলিস্তিনিদের জন্য রাজপথে নামলো কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ।

লোহাগাড়ায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক উৎসব‌ সম্পন্ন

নাগরপুরে শিক্ষক নেতৃত্বে সর্বোচ্চ ৫৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত ছানোয়ার

নাগরপুরে দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠিত

বাইশারী বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ফ্যামিলি বাসাসহ ৪ দোকান পুড়ে ছাই !!

সুন্দরবন’র আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও শংকা কাটেনি এখনও

শেরপুরে ‌’কানেক্ট জাপান এডুকেশন’ ট্রেনিং সেন্টারের উদ্বোধন

আদমদীঘিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চলছে তীব্র তাপদাহ এতে জনজীবন অতিষ্ঠ গ্রীন ভয়েস কক্সবাজার জেলার বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

রাসিক মেয়রের সাথে ফটোজার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ।

নাগরপুরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নতুন নেতৃত্বে হোসেন-ওয়াহিদ-কানিজ