ঢাকাশনিবার , ১১ মে ২০২৪
  1. সর্বশেষ

সুবোধ ফিরবে কবে?-উম্মে হুমাইরা

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
১৯ মে ২০২৩, ১০:৫৬ অপরাহ্ণ

Link Copied!

——-
সূর্য উঠা কিংবা অস্তমিত হওয়ার ক্ষণ গুলো ঠিকই মানসপটে রেখাপাত করলেও বয়সটা অনুধাবন করতে করতে কখন জানি শেষ হয়ে যায় তার খোঁজ মেলে না।
বয়সের সাথে সাথে নামতে হয় নিজেকে গুছানোর মিশনে,তবে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় সেশনজট কিংবা অন্যান্য সমস্যাজনিত কারণে বয়সটা শেষ হয় হয় যখন হাতে সার্টিফিকেট আসে।

এই বয়সে এসে কিছু করতে না পারার দায়ভার কাকে দিব?
চাকুরির বাজারে পা দিলেই বুঝতে পারা যায় দর-কষাকষিতে বিনিময় কত হবে কিংবা কত দরবার ঘুরতে হব।
আবার চাকরির জন্য অবশ্যই গ্রাজুয়েটেড হওয়া বাধ্যতামূলক সাথে আছে উচ্চ সিজিপিএর কদর।
মানলাম,এইসব ছাড়া যোগ্যতার মানদণ্ড করা সম্ভবপর না কিন্তু আমরা যারা ৪ বছরের অনার্স কোর্সে ভর্তি হয়ে নির্ধারিত সময় শেষ করতে পারি না, মনে হচ্ছে আমরা সেই আদুভাই/বোনে রূপান্তরিত হচ্ছি,কবরে খোদাই করে হয়তো লেখতে হবে স্নাতক ডিগ্রিধারী অমুক-তমুক।
৪ বছরের কোর্স যখন ৭ বছর লেগে যায় শেষ করতে তাহলে বাড়তি ৩ টা বছর যে জীবন থেকে এভাবে নষ্ট হয়ে যায় এর দায়ভার কে নিবে?
হ্যাঁ আমরা সবাই জানি যে কোভিড-১৯ এসব কিছুর মূলে।
করোনা তো আর কিছু ধরে রাখেনি শুধু আমাদের সবার প্রিয় ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নিয়মকে আঁকড়ে ধরে রাখছে।ছাড়ার তো জো দেখছি না পরম আদরের হলে যা হয় আরকি।

যে বয়সে এসে ১টা ছেলে/মেয়ে গ্রাজুয়েটেড হয়ে চাকরি পেয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কথা সে বয়সে ওই ছেলে/মেয়ে হয় আদুভাই/বোন হয়ে গ্রাজুয়েট এর অপেক্ষায় নয় চাকুরির বাজারে হাহাকার করছে।
এর ফলস্বরূপ কি কি ঘটছে জানেন?
একটা পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে,
ভেঙ্গে যাচ্ছে পরিবারের সাথে সম্পর্ক, প্রতিনিয়ত সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে আপন মানুষের সাথে।
এসবের দায়ভার কে নিবে?
আপনি নিবেন, পরম শ্রদ্ধেয় গুরুজনেরা নাকি আমাদের আত্মার আত্মীয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিবে।

ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমরা যারা পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স না পেয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারের হওয়ায় বিকল্প পন্থা হিসেবে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলাম,

আমরা কি খুব বেশি অপরাধ করে ফেলেছি?
আরে বাবা,
উচ্চবিত্ত পরিবার থেকে আসলে তো এত দিনে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েটেড হয়ে চাকুরিতে ৩ বছর পূর্ণ হয়ে যেতো।
আমাদের যে, ৩ টা বছর বেশি লাগছে এটার জন্য কি কোন উত্তম পন্থা অবলম্বন করেছে কি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি?
উত্তর উনাদের কাছে আছে কিনা জানিনা তবে আমি নিদারুণ কষ্টে বলতে পারবো আমার জানা নাই।
আমরা সামাজিক জীব। আর আমরা একটা চক্রাকার বৃত্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ। একটা শিশুর জন্মের পর থেকে তাকে বড় করা, এবং একটা জায়গায় দাড় করানো পর্যন্ত মা-বাবা অক্লান্ত পরিশ্রম করেন, এটা মা-বাবার দায়িত্ব।
যখন সেই শিশুটি বড় হয়ে একটা পরিপূর্ণ ব্যক্তিতে পরিণত হয় তখনই তার মা-বাবার দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে নিতে হয়। এভাবেই চক্রাকারে রয়েছে আমাদের দাদা-দাদি, বাবা-মা বর্তমান সময়টা আমাদের।
তাহলে এবার ভাবুন আপনি এখন কোন পরিস্থিতির সম্মুখীন?
উত্তর দিতে বুকে ব্যথা অনুভব করলে কিংবা কান্না আসলে লাভ নেই-
কারণ সুবোধ আসবে না-
পালিয়েছে বহুদূর।
এই বয়সে এসেই কিছু করতে না পারার দায়ভার কে নিবে?
শত প্রশ্নের যেমন উত্তর পাবো না তেমনি বেঁচে থাকার নিমিত্তে আবারো ছুটছে হবে,ছুটবো।
তবে মুক্তি মিলবে সুবোধ ফিরলে।
সুবোধ কবে ফিরবে জানিনা,তবে আশায় আছি ফিরবে।

135 Views

আরও পড়ুন

প্রথম ধাপে শেরপুরের দুই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা

শিক্ষকদের সাথে ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ’ অফিস সহকারীর, প্রশ্রয়ের অভিযোগ সাবেক বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে

বুটেক্সের প্রথম দিনের ভর্তি শেষে ৬০ শতাংশ আসন ফাঁকা

চট্টগ্রামে বিমান বিধ্বস্ত : নিহত এক পাইলট

চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমান: আশংকাজনক অবস্থায় দুই পাইলট

জেলা আ.লীগের সভাপতিকে হারিয়ে সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন এমপি পুত্র

নওগাঁর পত্নীতলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাফফার জয়ী

বিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পারভেজ কবীরের জয়

জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব উদযাপন বৃহস্পতিবার

তানোরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানসহ বিজয়ী হলেন যারা

বিশ্ব গাধা দিবস উদযাপন করবেন যেভাবে

গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ভোট বর্জন করলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম সেলিম