মরণের কালে ঠাঁই যেন পাই
সোনার বাংলাদেশে,
যে দেশেতে দোয়েল রাজা
শিস দিয়ে যায় হেসে।
শালুক ঝিলের সোঁদা হাওয়া
কোকিলের কুহুতান।
দিগন্ত-তক্ সবুজের ছোঁয়া
শিহরিয়া উঠে প্রাণ।
শিশির কোলে রেখে মাথা
ক্ষুদ্র তৃণলতা,
যায় বলে হায় কত সুখ
কত দুঃখের কথা।
মিষ্টি চড়ুই, দুষ্টু দোয়েল
দূরের হিজল গাছে,
আপন মনে সুখের তানে
খিলখিলিয়ে হাসে।
শীর্ণ কায়ায় মায়ের মায়া
দেখেছো কি কেউ!
তেরশত নদীর বুকে
উথাল পাথাল ঢেউ।
নদীর কোলে কলার খোলে
বর্ষায় সিক্ত মাটি,
বালুচরে আঁকা সাদা কাশফুল
আহ! সেকি পরিপাটি।
করে উদাসী রাখালিয়া বাঁশি
জেলে দেয় জালে টান,
রাঙা শাড়ি লাগি কত অভাগীর
মন করে আনচান।
হে আল্লাহ, পরিচয় যখন
দিয়েছো বাঙালি বলে,
মরতে তাই সাধ জাগে বড়
বাংলা মায়েরই কোলে।