ঢাকাবুধবার , ৮ মে ২০২৪
  1. সর্বশেষ

রংপুরে ৭০ ভাগ প্রাইমারী স্কুলে নেই শহীদ মিনার

প্রতিবেদক
নিউজ ভিশন
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ৪:৩৭ অপরাহ্ণ

Link Copied!

রাফিউল ইসলাম (রাব্বি) স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর:

শহীদ মিনার। ভাষা আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি। মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গের প্রতীক। মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠাতার সাহসী চেতনা। যেই শহীদ মিনার দেখলে বিনম্র শ্রদ্ধায় মন জাগ্রত হয় রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারদের মতো ভাষাপ্রেমির রক্তমাখা দরদ, মমত্ব আর ভালোবাসার দিকে। গৌরবময় সেই ভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছর পার হলেও এখনো রংপুর জেলার বেশিরভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই স্থায়ী শহীদ মিনার।

অন্তত জেলার সরকারি-বেসরকারি প্রায় ৭০ ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। একারণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কলা গাছ, বাঁশ, কাঠ, আর কাগজ-কাপড়ে তৈরি করা অস্থায়ী শহীদ মিনারেই শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে শিক্ষার্থীদের।

রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর জেলার ১ হাজার ৪শ ৫৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ৪শ ৯৫টিতে স্থায়ী শহীদ মিনার রয়েছে। বাকি ৯৬৩টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই।

এই পরিসংখ্যান সরকারি বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে হলেও জেলার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডার গার্ডেন স্কুলগুলোর বেশির ভাগই শহীদ মিনারহীন। তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বলছে, আগামী বছরের মধ্যেই বাদ পড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

পীরগাছার পরাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মুনতাসির বলেন, আমাদের স্কুলে শহীদ মিনার নেই। প্রতিবছর টাউন হল চত্বরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করি। স্কুলে শহীদ মিনার থাকলে আমরা এখানেই দিবসটি পালন করতে পারতাম।

একই কথা বলেন নগরীর আলমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পীরগাছার ব্রাহ্মণিকুণ্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাগঞ্জের ইকরচালী মাঝাপাড়াসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এদের অনেকেই কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে পায়ে হেঁটে গিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

তারাগঞ্জ ইকরচালী মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এছাড়াও ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা কলাগাছের শহীদ মিনার তৈরি সেখানে ফুল দিয়ে থাকেন।

এদিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পার হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার নির্মিত না হওয়া দুঃখজনক। অথচ শহীদ মিনার আমাদের গৌরব গাঁথার প্রতীক। নব প্রজন্মের মনে ভাষা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বীজ ছড়িয়ে দিতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা জরুরি।

এসময় তিনি আরও বলেন, শুধু প্রাথমিকে নয়, দেশের প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা দরকার। আজকের প্রজন্মই যেহেতু আমাদের ভবিষ্যৎ, সে হিসেবে এদেশের ইতিহাস জানাতে শহীদ মিনারের প্রয়োজন রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজাহান সিদ্দিকী আমাদের প্রতিদিনকে জানান, যেসব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই, তার একটা তালিকা করা হয়েছে। অনেক জায়গাতে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজও চলছে। আগামী বছরের মধ্যেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শতভাগ স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলেও তিনি জানান।

79 Views

আরও পড়ুন

নগরীতে অপহরণকারী চক্রের ৮ সদস্য গ্রেপ্তার

বগুড়া স্টেশনে যাত্রীর পেটে চাকু ধরে ছিনতাই কালে চার ছিনতাইকারি গ্রেফতার

আদমদীঘিতে স্বামী শ্বশুর ও ভাসুরের নির্যাতনে গৃহবধু এখন হাসপাতালে

ফিলিস্তিনিদের জন্য রাজপথে নামলো কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ।

লোহাগাড়ায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক উৎসব‌ সম্পন্ন

নাগরপুরে শিক্ষক নেতৃত্বে সর্বোচ্চ ৫৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত ছানোয়ার

নাগরপুরে দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠিত

বাইশারী বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ফ্যামিলি বাসাসহ ৪ দোকান পুড়ে ছাই !!

সুন্দরবন’র আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও শংকা কাটেনি এখনও

শেরপুরে ‌’কানেক্ট জাপান এডুকেশন’ ট্রেনিং সেন্টারের উদ্বোধন

আদমদীঘিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চলছে তীব্র তাপদাহ এতে জনজীবন অতিষ্ঠ গ্রীন ভয়েস কক্সবাজার জেলার বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ