ঢাকারবিবার , ১৯ মে ২০২৪
  1. সর্বশেষ

সন্তানের আত্মহত্যা রোধে পারিবারিক শৃঙ্খলা

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২২ এপ্রিল ২০২০, ১:৪৫ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

-এরশাদ হোসেন (আসাদুজ্জামান)

সেদিন একটি বালক আত্মহত্যা করেছে। কোন এক বালিকার সাথে প্রেমের সম্পর্কের ব্যাপার নিয়ে আত্মহত্যা। ফাঁসির দড়িতে খুব ভয়ানকভাবে ঝুলে ছিল। এরকম আত্মহত্যার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কোন বালক কিংবা বালিকা অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। কোনটা আমরা দেখি। কোনটা শুনি। আবার এরকম অনেক খবর আমাদের অগোচরেও থেকে যায়।
আচ্ছা অভিমান করে আত্মহত্যা কিভাবে করে?

সে মরে গিয়ে কি লাভটা হলো?

কোন পাগলেও এভাবে আত্মহত্যা করেনা। ইত্যাদি ইত্যাদি কথাবার্তা বলেই সমাজের মানুষগুলো তাদের দায়িত্ব শেষ করে। আসলে তারা আত্মহত্যা করে কেন? কেন করে সেটা কিন্তু আমরা জানি ও বুঝি। অত্যাধিক আবেগপ্রবণ হয়ে তারা আত্মহত্যা করে। এটা তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় একটি ভুল। এই ভুলটি তারা করে নির্দ্বিধায়। কোন গভীর সম্পর্ক কিংবা কোন গভীর চাওয়ার ক্ষেত্রে প্রবল বাধা আসলেই হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে তারা কঠিন পথ বেচে নেয়। গভীর সম্পর্কটা কিংবা গভীর চাওয়ার বিষয়টা মোটেও একদিনে সৃষ্টি হয়না। একটি পরিবার অনেক বিষয়কে ছোটখাট ভেবে ছাড় দেয়। পরে দেখা যায় সেই ছোটখাট কারণগুলো বড় বিপদের কারণ হয়। তখন আফসোসের সীমা থাকেনা! শুনতে বেমানান লাগলেও অত্যন্ত দুঃখ নিয়ে বলতে হয় অনেক মা-বাবা সন্তান জন্ম দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করে।প্রশ্ন আসতে পারে, তারা কি খাওয়ায়না? পড়ায়না? হ্যাঁ, তারা অবশ্যই খাওয়ায়-পড়ায়। সন্তানের লালন পালনে অনেক কষ্ট করে। অনেক ত্যাগ শিকার করে।তারা সন্তানের একটু জ্বর হলে কিংবা সর্দি হলে অনেক অনেক চিন্তিত হয়ে পড়ে। ডাক্তার নিয়ে, অষুধ নিয়ে, দৌড়াদৌড়ি করে। ব্যাপার কিন্তু সেটা না। ব্যাপার হলো, তারা দৈহিক ভাবে সন্তানকে যথেষ্ট গড়ে তুলে। কিন্তু নৈতিকতার প্রশ্নে অনেক বিষয়কে তার হেলাফেলা ভেবে ছাড় দেয়। এই একটি কারণেই সন্তান অন্ধকার গলিপথে হাঁটা শুরু করে। শুরু থেকেই গুরু। একটা বিষয় অবশ্যই মানতে হবে যে, সন্তানের মধ্যে আদর্শ তথা নৈতিকতা সৃষ্টি না-হলে কখনোই তার মধ্যে বিবেকবোধ জাগ্রত হতে পারেনা। একটি সন্তান যখন আদর্শ বা নৈতিকতার শিক্ষা পায়না তখন সে অনিয়ন্ত্রিত আবেগে গা ভাসিয়ে দেয়। আবেগ মোটেও খারাপ কিছু নয়। মানুষের মধ্যে কমবেশি সবারই আবেগ থাকে।
সহজ ভাবে বলতে গেলে আবেগ হচ্ছে দ্রুতগতিসম্পন্ন ঘোড়ার মতো। আর বিবেক হচ্ছে তার লাগাম। একটি লাগামহীন ঘোড়া যেমন নিয়ত্রণের অভাবে তার আরোহীর মৃত্যুর কারণ হয়। ঠিক তেমনি অনিয়ন্ত্রিত আবেগ সন্তানকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সন্তানকে কিভাবে বিবেকসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে হবে? এর উত্তরে বলতে হয়, একটি মা মুরগী কাক থেকে তার বাচ্চাকে বাঁচানোর জন্য ডানার নিচে যেভাবে বাচ্চাগুলোকে ঢেকে নেয়। সেরকম একটি নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি পরিবারে অবশ্যই থাকতে হবে। সন্তানের দৈনন্দিন জীবনকে ৪টি ধাপে ভাগ করে একটি নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সাজানো যেতে পারে।

যেমন- ১/পানাহার ২/ আনন্দ-বিনোদন ৩/জ্ঞানচর্চা ৪/ধর্মচর্চা।

আসুন ৪টি ধাপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার মাধ্যমে একটি সমাধানের পথ আবিষ্কার করি।

১/পানাহার:

জন্মের পর থেকেই সন্তান মায়ের বুকের দুধ পান করে। ধীরেধীরে বেড়ে উঠে।মুখে দাঁত উঠতে শুরু করে। একসময় মায়ের দুধ পান করা ছেড়ে শক্ত খাবার আহারে অভ্যস্ত হয়।একটি পরিবার তথা মা-বাবার মমতাময় নিয়ন্ত্রণে সে খাদ্য কোনটা অখাদ্য কোনটা ; কোনটা খাবে কোন খাবেনা এসব শিখবে। বয়স বাড়তে বাড়তে তাকে শেখাতে হবে ধুমাপান করা, মদ-গাজা-ইয়াবা ইত্যাদি নেশাজাত দ্রব্য মোটেও পানাহারের যোগ্য নয়।তাদের মনের মধ্যে এসবের প্রতি প্রচুর ঘৃণা সৃষ্টি করতে হবে। ঘরের কেউ তাদের সামনে এসব পানাহার করার প্রশ্নই আসেনা।তাদের মাধ্যমে এসবের আদান-প্রদান ক্রয়-বিক্রয় মোটেও হতে পারবেনা।কারো মাধ্যমে যাতে এসবের প্রতি আগ্রহান্বিত না হয় সেদিকে সচেতন থাকতে হবে।

২/আনন্দ-বিনোদন:

আনন্দ-বিনোদন সন্তানের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম একটি ধাপ।আনন্দ-বিনোদনের ক্ষেত্রেও সন্তানকে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রত্যেক কিছুর যেমন নির্দিষ্ট পরিমাপ আছে, ঠিক তেমনি আনন্দ-বিনোদেরও একটা সীমারেখা আছে। তাদের আনন্দ-বিনোদনের সীমারেখা কতটুকু তা তাদের কাছে স্পষ্ট করে দিতে হবে।আনন্দ বিনোদনের নির্দিষ্ট সীমার বাইরে আছে অশ্লীলতা। যা আনন্দ-বিনোদনের অংশ হিসেবে সমাজে চালিয়ে দেয়া হয়। অথচ তা সন্তানদের ধ্বংসের শেষ সীমানায় পৌঁছিয়ে দেয়। এসবের ব্যাপারে পরিবারকে অত্যন্ত সজাগ থাকতে হবে। সন্তানদের আনন্দ-বিনোদনের বিষয়গুলো চোখে চোখে রেখেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আনন্দে-বিনোদনের মধ্যে কোনটা ভাল, কোনটা মন্দ তা চিহ্নিত করে দিতে হবে। ভালগুলোর চর্চা এবং মন্দগুলোর প্রতি ঘৃণার মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে। এখানে আমি আনন্দ-বিনোদনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করা অপরিহার্য মনে করছি। যেমন-

(ক) টেলিভিশন:

টেলিভিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ আনন্দ-বিনোদনের মাধ্যম। অনেক পরিবারে এই মাধ্যমটির নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে সন্তানগণ এটির মাধ্যমেই অশ্লীলতার হাতেখড়ি অর্জন করে। টেলিভিশনের বিভিন্ন চরিত্র সন্তানকে প্রবলভাবে প্রভাবিত করে। অশ্লীল নাচ-গান, ফিল্ম, নাটক ইত্যাদি থেকে সন্তানগণ তাদের আবেগকে শাণিত করে। তাই সর্বপ্রথম পরিবার থেকে অশ্লীলতা দূর করতে হবে। একটি পরিবার যদি অশ্লীলতায় অভ্যস্ত হয়, তাহলে সে পরিবারের সন্তানরা আদর্শবান হওয়া “আকাশ কুসুম কল্পনা” ছাড়া অন্য কিছু নয়।সন্তানদের দৈনন্দিন জীবন এমন নিয়মতান্ত্রিকভাবে গড়ে তুলতে হবে যে, আনন্দ-বিনোদনের বিষয়, সময় ও সীমারেখায় তারা যেনো একেবারেই অভ্যস্ত হয়ে যায়। সেই হিসেবে যখন তখন যেমন তেমন অনুষ্ঠান সন্তান দেখতে পারবেনা। নির্দিষ্ট সময়ে বিশেষ কিছু অনুষ্ঠান তারা দেখবে যা আনন্দ দেয় এবং যাতে অশ্লীলতা নেই।

(খ) মোবাইল ফোন:
বর্তামানে এটি আনন্দ-বিনোদনের সিংহাসন দখল করে নিয়েছে।স্মার্ট ফোনে টেলিভিশনের সকল প্রোগ্রামতো আছেই সেইসাথে ফেইসবুক, টুইটার, মেসেঞ্জার, ইমু, হোয়াটসএ্যাপ সহ আরো অনেক যোগাযোগ মাধ্যমে সহজেই ভাব আদান-প্রদান হয়। বর্তমানে উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরাও ফেইসবুকে মাত্রাতিরিক্ত আসক্ত। অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও সমানতালে সক্রিয়। এসব তাদেরকে মারাত্মক পরিণতির দিকে কতো দ্রুত নিক্ষেপ করছে তা আমরা প্রতিনিয়ত অবলোকন করছি।এসব মাধ্যমে মাত্রাতিরিক্ত সময় ব্যায়ের ফলে ছেলে-মেয়েরা আবেগতাড়িত হচ্ছে।ফলে এমনসব অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ড করে বসছে যা কল্পনাতীত।অনেক পরিবারে এসব আমলে নেওয়ার মোটেও প্রয়োজনবোধ করেননা।তারা এটাকে নিছক আধুনিকতার ছুঁয়া হিসেবে হেলাফেলা মনে করে। অথচ উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের এসব সম্পূর্ণ নিষ্প্রয়োজন।তাদের সেইসময়ে দৈনন্দিন রুটিনে আওতাভূক্ত রাখাটাই প্রয়োজন। তারা প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যাবে। খেলার মাঠে দাপিয়ে বেড়াবে।বইয়ের ভাজে ভাজে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চায় ডুবে থাকবে।প্রকৃতির দৃশ্যগুলো উপভোগ করবে। পাখি দেখবে। ফুল দেখবে। নদীর জোয়ার দেখবে।আকাশ দেখবে। সূর্য,চন্দ্র, তারকারাজি দেখবে। পড়বে, আঁকবে,গাইবে। এইতো তাদের প্রত্যাহিক কাজ। এসবইতো তাদের মানষিক বিকাশ সাধনে সহায়ক। কিন্তু তা না-করে তারা নিজেদের বয়সের চেয়ে ঢের বেশি সমপর্যায়ের আনন্দ-বিনেদনে নিজেকে সপে দিয়ে অথর্বে পরিণত হয়। এরা সহজেই জড়িয়ে যায় যৌনতায়। যৌনতাকেই এরা জীবন ভাবতে শুরু করে। যার তার সাথে সহজেই যোগাযোগের সুবাদে অপরিচিত জনের সাথেও ভাব বিনিময় হয়। একসময় দেখা যায় কেউ অন্যের হাত ধরে পালিয়ে যায়। কেউ নিজের নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে প্রকাশ্যভাবে অশ্লীলতা করে বেড়ায়। আবার কেউবা ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করে।

(গ) খেলাধুলা :
খেলাধুলা সন্তানদের গুরুত্বপূর্ণ আনন্দ-বিনোদনের মাধ্যম। শিশু থেকেই খেলাধুলা শুরু হয়। ঘরের আঙ্গিনা কিংবা মাঠে যেখানেই সন্তান খেলাধুলা করুকনা কেন পরিবারকে অবশ্যই কড়া দৃষ্টি রাখতে হবে।” পানাহার” বিষয়ক ধাপে যে নিষিদ্ধ পানাহারের ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে খেলাধুলা করতে গিয়ে এমন কিছুতে জড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব নয়।তাছাড়া খেলতে গিয়ে অশ্লীল কথাবার্তা, অবাধ্যতা, লোভ-হিংসাসহ যাবতীয় মন্দকাজে অভ্যস্ত হওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা থাকে। তাই সৎ খেলার সঙ্গী নির্বাচনে পরিবারের ভূমিকা থাকতে হবে।কখনো অসৎ ছেলেপেলের সাথে খেলতে দেওয়া যাবেনা। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সন্তান যেনো যখন তখন খেলাধুলায় অভ্যস্ত না হয়।তার খেলাধুলার জন্য থাকবে নির্দিষ্ট সময়। সেদিকে দৃষ্টি দিয়েই কবি বলেছেন- “খেলায় মজিয়া শিশু কাটাইওনা বেলা/সময়ের প্রতি কবু করিওনা হেলা”

৩/ জ্ঞান চর্চা:

জ্ঞান ছাড়া সন্তান কখনো আদর্শবান হতে পারেনা। তাই তার জ্ঞানচর্চার দিকে পরিবারকে পুরোপুরিভাবে নিবেদিত হতে হবে। ছোট থেকেই তাকে প্রতিষ্টানিক জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি গুণীজনদের বইপত্র পড়তে উৎসাহী করতে হবে। একজন বইপ্রেমী সন্তান কখনোই বিবেকহারা হয়না। শিক্ষণীয় গল্প, ছড়া-কবিতা, নৈতিক উপন্যাস, মনীষীদের জীবনী, ভ্রমণ কাহিনী সহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় চর্চা করে সন্তান তার মস্তিষ্ককে সতেজ করবে। এজন্য পরিবারকেও অবশ্যই জ্ঞান চর্চায় আগ্রহপোষণ করতে হবে। কেননা, জ্ঞানবিমুখ পরিবারের সন্তান কদাচিৎ-ই জ্ঞানমুখী হয়। সন্তানদের অবশ্যই অভিজ্ঞ জ্ঞানগুরুর সান্নিধ্যে রাখতে হবে।পুথিগত শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার তালিমও তাকে দিতে হবে।

৪/ধর্মচর্চা:

শিশু থেকেই সন্তানকে ধর্মীয় চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। কারণ, ধর্ম মানুষকে আলোর পথ দেখায়।একজন প্রকৃত ধার্মিক কখনো পথহারা হয়না।এক্ষেত্রে পরিবারকেও ধর্মকর্মে আন্তরিক হতে হবে।মরা বৃক্ষ থেকে যেমন ফুল-ফল সম্ভব নয়, তেমনি ধর্মীয় অনুভূতিহীন পরিবার থেকে ধার্মিক সন্তান অসম্ভব। পরিশেষে বলতে চাই, উপরোক্ত ৪টি ধাপ যদি পরিবারে যথাযথ অনুশীলন করা হয় তাহলে অবশ্যই সন্তান অনিয়ন্ত্রিত আবেগ থেকে মুক্তি পাবে।তার জীবনে এমন কোন পরিস্থিতি হবেনা, যার কারণে সে আত্মহত্যা করবে। কারণ, সে যেকোন পরিস্থিতিতে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম হবে।

————————–
লেখক:
এরশাদ হেসেন (আসাদুজ্জামান)
কবি ও ছড়াকার, কলামিস্ট।
গবেষক: মানবসমাজ গবেষণা পরিষদ, চট্টগ্রাম।

89 Views

আরও পড়ুন

শেরপুরে আন্তঃজেলা গরু চোরচক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার ও চোরাই গরু উদ্ধার

বিচ্ছুর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

শারমিন মীমের কবিতা “ভেজাল”

শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

শার্শায় ভোটগ্রহণ নিয়ে কর্মকার্তাদের সাথে নির্বাচন কমিশনারের ব্রিফিং

নাগরপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা দুলাল বহিষ্কার

গাজায় চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে বুটেক্স শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

রূপগঞ্জের জাঙ্গীর কুদুর মার্কেট-নদীরঘাট রাস্তাসহ ড্রেন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

নাগরপুরে হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকায় জমেনি উপজেলা নির্বাচন

“রাখে আল্লাহ, মারে কে” : নাইক্ষ্যংছড়ি ছালামী পাড়ায় মোটরসাইকেল মার্কার সমর্থনে উঠান বৈঠকে চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফাইল

কবি ফিরোজ খানের কবিতা

নাইক্ষংছড়িতে প্রিজাইডিং সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ !!