ঢাকারবিবার , ১৯ মে ২০২৪
  1. সর্বশেষ

সুনামগঞ্জে ৫৪ পরিবারের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে দিলেন আদালত

প্রতিবেদক
নিউজ ভিশন
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ৩:৫৯ অপরাহ্ণ

Link Copied!

মিজানুর রহমান রুমান:

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলায় স্বামীকে কারাগারে না পাঠিয়ে পৃথক ৫৪ টি মামলা আপোষে নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আদালত। তবে ১১ টি মামলায় স্বামীদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ৬৫ টি পৃথক মামলার একসঙ্গে দেওয়া রায়ে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নান্টু রায়। রায় ঘোষণার পর আদালতের পক্ষ থেকে ৫৪ দম্পতিকে ফুল দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, যৌতুকসহ নানা কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার ৬৫ জন নারী সংসার থেকে বিতাড়িত হয়ে তঁাদের স্বামীর বিরুদ্ধে পৃথকভাবে আদালতে মামলা করেছিলেন। দীর্ঘদিন এসব মামলার বিচারকাজ চলছিল। নির্যাতনের শিকার হয়ে নারীরা তাদের ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে অনিশ্চিত এক জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অনিশ্চিত জীবন থেকে ৫৪ স্ত্রীকে স্বামীর এবং সন্তানদের তাদের বাবার পারিবারিক বলয়ে আবদ্ধ করে ব্যতিক্রমী আপোষের রায় দিলেন বিচারক। বিচারক উভয়ের পক্ষের বক্তব্য শুনে তঁাদের সন্তানদের এবং তঁাদের মঙ্গলের জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন এটে ৫৪ টি দম্পতিকে পারিবারিক পূনঃমিলনের ব্যবস্থা করে দিলেন।

কিন্তু ১১টি পরিবারকে একিভূত করতে সক্ষম না হওয়ায় এবং নির্যাতিত স্ত্রী ও তঁাদের সাক্ষীরা স্বামীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ায় এবং স্বামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১১ স্বামীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

আপাষে নিষ্পত্তিকৃত মামলার বাদী-বিবাদী পক্ষের স্বজনদের দাবি, সংসার থেকে বিতাড়িত ছোট ছোট সন্তানাদি নিয়ে ওই নারীদের জীবন ছিল চরম দুর্দশাগ্রস্ত। এসব দুঃখ বেদনা আর দীর্ঘশ্বাসে আদালত অঙ্গণ ভারি থাকত। শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে এই রায় ৫৪টি পরিবারকে বিশৃঙ্খলার বেড়াজাল থেকে মুক্ত করে দিল। কারণ এসব মামলার সুষ্ঠু নিষ্পত্তি না হলে ছোট ছোট শিশুরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অযত্ন অবহেলায় বেড়ে ওঠে ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিপতিত হত। এই রায় অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার।

সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নান্টু রায় বলেন,‘ আদালত পৃথক ৬৫ টি নারী-শিশু নির্যাতন দমন মামলায় রায় দিয়েছেন। ১১ টি মামলায় ১১ জন স্বামীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। তবে ৫৪টি মামলায় স্বামী-স্ত্রীকে আপোষের মাধ্যমে নিস্পত্তি করে দিয়েছেন। এর আগেও তিনি যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। এভাবে যদি বিচারকার্য চলে এবং মামলার নিস্পত্তি হয় তাহলে বিচার ব্যবস্থার উন্নতি হবে। এবং বিচারপ্রার্থী জনগণ তাদের সুবিচার পাবে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ নভেম্বর একই আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন একদিনে পৃথক ৪৭ টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলায় ৪৭টি পরিবারকে আপোষের মাধ্যমে তঁাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছিলেন। এনিয়ে মোট ১০১ টি পরিবার ধংসের হাত থেকে রক্ষা হল।

69 Views

আরও পড়ুন

বিচ্ছুর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

শারমিন মীমের কবিতা “ভেজাল”

শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

শার্শায় ভোটগ্রহণ নিয়ে কর্মকার্তাদের সাথে নির্বাচন কমিশনারের ব্রিফিং

নাগরপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা দুলাল বহিষ্কার

গাজায় চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে বুটেক্স শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

রূপগঞ্জের জাঙ্গীর কুদুর মার্কেট-নদীরঘাট রাস্তাসহ ড্রেন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

নাগরপুরে হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকায় জমেনি উপজেলা নির্বাচন

“রাখে আল্লাহ, মারে কে” : নাইক্ষ্যংছড়ি ছালামী পাড়ায় মোটরসাইকেল মার্কার সমর্থনে উঠান বৈঠকে চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফাইল

কবি ফিরোজ খানের কবিতা

নাইক্ষংছড়িতে প্রিজাইডিং সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ !!

লোহাগাড়ার আজিজ কাতারে মারা গেলো স্ট্রোকে