আরফাত আরেফিন,চট্টগ্রাম :
টেরীবাজার ব্যবসায়ীদের চলতি সমস্যাদি আগামীকালকের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দেন। এছাড়াও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে টেরীবাজারে মসজিদ, গণশৌচাগারসহ যতপ্রকার সমস্যা রয়েছে তা আমি নিজে পরিদর্শন করে সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর নিকট স্মারক লিপি প্রদানকালে তিনি এসবকথা বলেন।
মেয়র বলেন, টেরীবাজার এলাকায় যে লাইটিং এর সমস্যা রয়েছে তা আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আমিনুল হক, সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব বেলায়েত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবদুল মান্নান।
সভাপতি আলহাজ্ব আমিনুল হক বলেন, কোভিড-১৯ এর লাকডাউনের কারণে টেরীবাজারসহ সকল ব্যবসায়ীরা অসহায় হয়ে পড়েছে। গতবছর ২০২০ ঈদে ব্যবসায়ীরা যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এখন যদি আবার লাকডাউনের যাত্রাকলে জড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে ব্যবসায়ীদের মরণ ছাড়া কোন উপায় নেই। কারণ এবারও ব্যবসা করার লক্ষ্যে লাক্ষ লাক্ষ কোটি টাকার মালামাল মজুদ করেছে। তাই আমরা চাই ব্যবসায়ীরা যেনো বেচাকেনা করে অন্তত বেচে থাকতে পারে, কিছুটা সময় ব্যবসা করার সুযোগ দিলে ব্যবসায়ী কিছুটা ঋণ মুক্ত হতে পারবে।
সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান বলেন, টেরীবাজার আওতাধীন যত দোকান রয়েছে সবারই বেচাকেনা হয় পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে। এইখানে মুলত সবগুলো কাপড়ের দোকান যা পাইকারি মূল্যে ফেনী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা এসে পাইকারি মূল্যে নিয়ে যায়।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে কোভিড-১৯ এর লাকডাউনের ধাক্কা ২০২০ সালের ঈদে আমাদের উপর পড়েছিল সেই লোকসান এখনো ব্যবসায়ীরা শোধ করতে পারেনি। এমনতাবস্থায় এবারও যদি সেই লাকডাউনের ধাক্কা ব্যবসায়ীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় তাহলে মরণ ছাড়া কোন উপায় নেই ব্যবসায়ীদের।
আমরা মাহে রমজানের আগে দুই একমাস ব্যবসা করি তাই টেরীবাজার কে লাকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হেক। তাও যদি সম্ভব না হয় অন্তত সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ব্যবসা করার সুযোগ দিলে কিছুটা ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।