ঢাকাবুধবার , ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  1. সর্বশেষ

ভূরুঙ্গামারীতে পতিত জমিতে সুপারি বাগান করে স্বাবলম্বি অনেক পরিবার

প্রতিবেদক
admin
৫ মে ২০২১, ৫:৫৭ অপরাহ্ণ

Link Copied!

মোঃ মনিরুজ্জামান,ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)থেকেঃ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে পতিত জমি, পুকুরপাড় এবং ক্ষেতের আইলে সুপারি গাছের বাগান লাগানো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে । ঐ সব জমিতে সুপারি বাগান করে স্বাবলম্বি হচ্ছে অনেক পরিবার।
পুকুরপাড় ও ক্ষেতের আইলে সুপারি গাছ লাগাতে অতিরিক্ত কোন জমির প্রয়োজন হয় না এবং জমির ফসলের তেমন ক্ষতি না হওয়ায় সুপারি গাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে চাষিরা। সুপারি বিক্রি করে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হওয়া ছাড়াও এসব গাছের শক্ত অংশ দিয়ে গ্রামাঞ্চলের ঘর বাড়িতে বসার মাচা (টঙ) এবং চালের বাতা করা যায়। সুপারি গাছের পাতা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়। এছাড়াও সারা বছর নিজের পরিবারের শৌখিন খাবার পান-সুপারি খাওয়ার চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সুপারি বিক্রি করে সংসাসের সিংহভাগ ব্যয় মেটানো সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই এখন বসতবাড়ির আশপাশের পতিত জমি, পুকুরপাড় এবং ক্ষেতের আইলে বাণিজ্যিক ভাবে সুপারি চাষ করছে কৃষক। এমনই দৃশ্য চোখে পরছে উপজেলার দশটি ইউনিয়নের প্রায় সব কটি গ্রামে। এ সব এলাকায় বাণিজ্যিক ভাবে সুপারি বাগান গড়ে তুলেছেন চাষিরা। কথা হয় উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা বাবলু মন্ডলের সাথে। তিনি বলেন, প্রায় তিন একর জমির মধ্যে একটি পুকুর কেটেছেন। পুকুরের পাড়ে ও বাড়ীর চার পাশে বিশাল জায়গায় চার শতাধীক সুপারি গাছ লাগিয়েছেন। গাছ গুলোতে সুপারি ধরতে শুরু করেছে। পুকুরের মাছের পাশাপাশি সুপারি বিক্রি করে বেশ আয় হচ্ছে তার। এছাড়াও সুপারি গাছের ঝড়ে পরা পাতাসহ খোল(ডোঙ্গল) দিয়ে পরিবারের রান্নার জ্বালানী বেশ ভালই চলছে ।
বলদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বলেন, আমার বাড়ির আশপাশসহ, পুকুরপাড় এবং ক্ষেতের আইল মিলে প্রায় ১৫ শতক জমিতে ১৫০টি সুপারি গাছ আছে। এই মৌসুমে প্রায় ৩৫ হাজার টাকার সুপারি বিক্রি করেছি।
পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা গ্রামের কৃষক এরশাদ আলী জানান, তার বাড়ির চার পাশে প্রায় দুইশটি সুপারি গাছ আছে। প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে দেড় থেকে দুই পোন সুপারি পারা যায়। বর্তমানে বাজারে সুপারির বেশ ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। প্রকার ভেদে প্রতি পোন সুপারি ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলায় বানিজ্যিকভাবে সুপারি চাষ বেশ জন প্রিয় হয়ে উঠছে। এ পর্যন্ত উপজেলার দশটি ইউনিয়নে ৩৫০ হেক্টর জমিতে সুপারি গাছ চাষ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, সুপারি হলো পরিবেশ বান্ধব গাছ। বাড়ির আশপাশের পতিত জমি এবং পুকুরপাড়ে সুপারি গাছ লাগিয়ে আয় করা সম্ভব। এতে পতিত জমির সর্বত্তোম ব্যবহার হয়, সাথে অর্থও আসে। বানিজ্যিক ভাবে সুপারি গাছ চাষে কৃষকদেরকে আগ্রহী করে তুলতে নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
##

আরও পড়ুন

মাদারীপুর বাবু চৌধুরী ক্লিনিকের ওয়াশরুমে নবজাতক মেয়ে শিশুর জন্ম দিয়ে পালিয়ে গেলেন অজ্ঞাত মা

হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়াকে দেখার পর কি বললেন জামায়াত আমীর?

বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কাপাসিয়া প্রেসক্লাবে বিশেষ দোয়া মাহফিল

কাপাসিয়ায় গাছ কেটে অবৈধভাবে কয়লা তৈরি করার দু’টি চুল্লী ধ্বংস করেছে উপজেলা প্রশাসন

রাউজানের ডাবুয়ায় খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্যে খতমে কুরআন ও দো’য়া মাহ’ফিল

বাঁচতে চায় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত কুবি শিক্ষার্থী অনন্যা

২০২৪-২৫ সেশনের ক্লাস শুরু এবং ৫ দফা দাবি ইডেন শিক্ষার্থীদের

কুবি’র বিজয়-২৪ হলে কালচারাল এন্ড স্পোর্টস উইকের উদ্বোধন

চকরিয়ায় স্বামীর নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

দোয়ারাবাজারে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি

বেগম জিয়া দেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারের প্রজ্ঞাপন

বেগম জিয়া দেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারের প্রজ্ঞাপন

১১ পেজ ও আইডির বিরুদ্ধে ডিবি কার্যালয়ে মামলা করলেন সাদিক কায়েম