এস.এম রুবেল আকন্দ:
পাশে এগিয়ে এসে দাঁড়ালো ছাত্রলীগের নেতা সুজন ও তার সহকর্মীরা।
লকডাউনে শ্রমিক সংকট ও অর্থ সংকটের কারণে দেড় বিঘা জমির পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না ময়মনসিংহের সদর উপজেলা ঘাগড়া ইউনিয়নের পাড়াইল গ্রামের কৃষক দুলাল মিয়া। ক্ষেতেই ধান নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছিল।
খবর পেয়ে ময়মনসিংহ সদর ১১নং ঘাগড়া ইউনিয়নের ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোঃ সুজন ফকির ও তার সহকর্মীদের নিয়ে সেখানে ছুটে যান।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ছাত্রলীগের ২৫ জন নেতাকর্মী নিয়ে সুজন ফকির গত (৪ মে) মঙ্গলবার সকালে থেকে কৃষক দুলাল মিয়ার দেড় বিঘা জমির ধান কেটে মাড়াই করে দেন। হঠাৎ রাজপথের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কৃষকের ক্ষেতের ধান কাটতে দেখে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সচেতনমহলসহ স্থানীয়রা।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পাকা ধান কেটে দেয়ায় কৃষক দুলাল মিয়ার অনেকটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, অন্যের চার বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেছেন। লকডাউনের মধ্যে ধান কাটার উপযুক্ত হয়। লকডাউনে শ্রমিক সংকটের কারণে পাকাধান কাটতে পারছিলাম না। এছাড়াও এলাকায় যে শ্রমিক পাওয়া যায় তাদের মজুরি খুব বেশি। ক্ষেতের ধান পাকার পরেও তা কাটতে না পারায় কিছুটা ক্ষতির আশঙ্কা ছিলাম। আমার এমন অসহায়ত্বের কথা শুনে ছাত্রলীগের নেতা সুজন ও ফিরোজ ভাই আরও নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে এসে টাকা-পয়সা ছাড়াই আমার দেড় বিঘা ক্ষেতের ধান কেটে দেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে আমার ধান কাটতে সাহায্য করেছেন তা কখনও ভুলব না।
ছাত্রলীগ নেতা মোঃ সুজন ফকির বলেন, ধান কাটার প্রতি মৌসুমেই অন্য জেলা যেমন নান্দাইল ও শেরপুর জামালপুর সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা ময়মনসিংহ জেলায় ধান কাটতে আসেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঘোষিত লকডাউনে অন্য এলাকার শ্রমিক এখানে আসতে পারেননি। এদিকে কৃষক দুলাল মিয়া দেড় বিঘা জমির পাকা ধান নিয়ে কাটতে না পেরে বিপাকে পড়েন। কৃষক দুলালের অসহায়ত্বের কথা শুনে ছাত্রলীগের ঘাগড়া ইউনিয়ন ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তার ধান কেটে দিয়েছি। এ সংকটকালে প্রয়োজনে অন্যদের ধানও কেটে ঘরে তুলে দেবে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।