আ.ক.ম.গিয়াস উদ্দিনঃ
ষোড়শ শতাব্দিতে চকরিয়া প্রায় স্বাধীন এক অঞ্চল ছিল। পুর্তুগীজ ঐতিহাসিক জৌ আদা বেরোস কর্তৃক ১৫৩৮সালে মতান্তরে ১৫৫২ সালে এ অঞ্চলের যে ম্যাপ আঁকা হয়, তাতে চকরিয়া নামের সুস্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। তখন কক্সবাজার নামের কোনো অস্থিত্ব ছিলনা।
ওই ম্যাপে চকরিয়ার যে অবস্থান দেখানো হয়েছে, তাতে চকরিয়া অবস্থান শংখ নদীর দক্ষিণে এবং আরাকান পর্বত মালার পশ্চিমে। যা নাফ নদীর উত্তর পাড় পর্যন্ত বিস্তৃত। ওই ম্যাপে চকরিয়া এলাকাটিকে Eastado COAVASCAM বা খোদা বক্স খানের স্টেট বা তৎকর্তৃক শাসিত অঞ্চল হিসেবে দেখানো হয়।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে ইংরেজ ক্যাপ্টেন কক্স এর নামে কক্সবাজারের পত্তন হয়। পরে চট্টগ্রাম জেলার অধীনে কক্সবাজারকে মহকুমা করে এর অধীনে চকরিয়া-কুতুবদিয়া নিয়ে চকরিয়া থানা গঠন করা হয়।
এরপর চকরিয়া থেকে কুতুবদিয়াকে বিচ্ছিন্ন করে গঠন করা হয় আলাদা উপজেলা। সর্বশেষ পেকুয়াকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা উপজেলা গঠন করা হলো। এখন মাতামুহুরীকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা উপজেলা হবে, হোক।
কিন্তু চকরিয়াকে নিয়ে ভাবার জন্য কোথাও কি কেউ নেই? চকরিয়ার অবস্থানগত ভৌগলিক গুরুত্ব, প্রাকৃতিক সম্পদ, রাজস্বের যোগান, ইতিহাস, ঐতিহ্য ইত্যাদি চকরিয়াকে জেলায় উন্নীত করার পক্ষে।
বৃহত্তর চকরিয়া আয়তনের দিক থেকে ফেনী জেলার প্রায় সমান। এছাড়া পার্বত্য লামা ও আলীকদম উপজেলা, মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও পেকুয়া উপজেলার মিলনস্থল চকরিয়া। এসব উপজেলার লোকজনকে সড়ক পথে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে যোগাযোগের জন্য চকরিয়ায় এসে গাড়ি ধরতে হয়। এতে করে শহর হিসেবে এর ব্যস্ততা বেড়েছে, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে, এই শহরের বিস্তৃতিও দ্রত বাড়ছে। কিন্তু সুযোগ সুবিধা বাড়েনি।
চকরিয়ার প্রতি সুবিচার করা হোক।
লেখকঃ
প্রফেসর এ.কে.এম.গিয়াস উদ্দিন,
সেক্রেটারি ট্রাস্টি বোর্ড,
কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি