ঢাকাসোমবার , ২১ এপ্রিল ২০২৫
  1. সর্বশেষ

অস্থিতিশীল বাংলাদেশ: পরিত্রাণ কোথায়??

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
৫ নভেম্বর ২০২০, ১০:০৮ অপরাহ্ণ

Link Copied!

আহসান হাবীব ইমরোজ :

শৈশব থেকেই আমাদের জাতির গর্বিত সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ আর বীরত্ব গাথা শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। মননে জাতীয় সংগীত এর মধুর সুর “আমার সোনার বাংলা” কে গেঁথে নিয়েছি।বিভিন্ন ভাষণ, সেমিনারে শুনেছি এবং বইয়েও পড়েছি ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমার সোনার বাংলা। সেই শৈশব থেকে কৈশর পেরিয়ে আজ যৌবনে পদার্পণ করেও একই বক্তব্য শুনি, একই লেখা পড়ি। কিন্তু যা পড়ি, যা শুনি বাস্তবে তা দেখি না। আজ বাস্তবতা দেখে আমার বলতে ইচ্ছা হয়- ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমার ধর্ষক, চাঁদাবাজ, খুনি, লম্পট, দুর্নীতিবাজ, নিশ্চল অবরুদ্ধ বিচার ব্যবস্থা, আইনের শাসনহীনতা এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বাংলা। ১৯৭১ এ আমরা অত্যাচারী পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর দুঃশাসন, শোষণ, নিষ্পেষন থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য দীর্ঘ এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পথ পাড়ি দিয়ে সর্বসম্মত ধারণা অনুযায়ী ৩০ লক্ষ প্রাণ বিসর্জনের বিনিময়ে এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, লাল সবুজের পতাকা অর্জন করেছি। “কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা বড় কঠিন।” এ বাক্যটিই বাঙালির জাতীয় জীবনে চিরন্তন সত্য রূপে আবির্ভুত হয়েছে। যেই বাঙালি ধর্ষণ, গুম, খুন, নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, আইনের শাসন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, স্বাধীন নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, বাকস্বাধীনতা, সরকারী চাকুরিতে পক্ষপাতীত্বহীনতা থেকে মুক্তি পেতে ৩০ লক্ষ মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে সেই বাঙালির ভাগ্যাকাশ আজ মেঘাচ্ছান্ন। ১৯৭৫ সালে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গন্ধুরকে স্বপরিবারে হত্যা, ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান হত্যা , এরপর পিলখানা, মেজর সিনহা রাশেদ, সবজি বিক্রেতা কিশোর রাজন, বিশ্বজিৎ, সাংবাদিক জুটি সাগর-রুনি, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ, নারায়নগঞ্জের সেভেন মার্ডার, বরগুনার রিফাত শরীফ, নোয়াখলীর সুবর্ণচরে
৪ সন্তানের জননীকে গণধর্ষনের পর হত্যা, সাম্প্রতিক সময়ের বেগমগঞ্জের ঘটনা, সিলেটের পুলিশ ফাঁড়িতে যুবক রায়হান, সাতক্ষীরায় ভাইয়ের হাতে সপরিবারে নিহত হন শাহিনুর রহমান।মর্মান্তিক এসব হত্যাকান্ড বাঙলির স্বাধীনতার স্বাদকে বিস্বাদে পরিণত করেছে। ইতিহাসের সমস্ত নির্মমতাকে হার মানিয়েছে। এছাড়াও মাদক, রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা, অবৈধ অর্থ উপার্জন এবং বিদেশে অর্থপাচার চরমে পৌঁছেছে। নতুন মাত্রা পেয়েছে ধর্ষণ। শিক্ষঙ্গন, কর্মক্ষেত্র, নিজগৃহ, অতিথিগৃহ, শিশু, বৃদ্ধা, কোথাও কোনো নারীই আজ নিরাপদ নয়। প্রত্যেকটি নারীই সর্বদা সম্ভ্রম হারানোর আশঙ্কায় থাকে। কিন্তু একটা স্বাধীন সার্বভোম দেশে কেনো এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো? এর থেকে মুক্তির উপায়ই বা কী?

আমার মতে বাঙালীর আজ এই সঙ্কটের কারণ ৩ টি।
১. রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা।
২. অপসংস্কৃতির চর্চা।
৩. ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা।
স্বাধীনতার পর থেকে কখনোই একটি পরমতসহিষ্ণু গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা এদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে মুক্তি পেতে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রক্তঝরালেও সাধের সেই গণতন্ত্র কাগজ কলমেই রয়ে গেছে বাস্তবে তা ধরা ছোয়ার বাইরে। শাসকগণের নিজেকে অধিকযোগ্য মনে করে শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকার বাসনা জন্ম দিয়েছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর। বর্তমানে এই রাষ্টীয়/ রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য এতই বেড়েছে যে এখন সরকার এবং প্রশাসন চাইলেও তাদেরকে নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না। রাষ্টীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যগণ এখন তাদের কার্যক্রমের ক্ষেত্র বাড়িয়েছে এখন তারা গণমানুষের মধ্যে ব্যাপকহারে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে অনায়াসেই এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা বলে আইনের ফাক গলিয়ে অনায়াসে বেরিয়েও যাচ্ছে। দিনকে দিন তাদের অপরাধপ্রবণতা দূর্বার গতিতে বেড়েও চলছে। আমাদের বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা এবং নিষ্ক্রীয়তাও রাজনৈতিক অব্যবস্থাপনার ফল। স্বাধীন বিচারব্যবস্থার কথা প্রজাতন্ত্রের সংবিধানে থাকলেও সংবিধানের মতো স্বাধীনবিচারব্যবস্থাও কাগজ কলমে। আদতে তা সরকার প্রধান ও সরকারীদলের নিয়ন্ত্রণাধীন।বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ধর্ষণ যেখানেও এই অপরাজনীতির একটা বড় প্রভাব রয়েছে। ধর্ষণের মূল কারণ অপসংস্কৃতি আর ধর্ষকের আশ্রয়দাতা অপরাজনীতি। আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গন অশ্লীলতায় পরিপূর্ণ।অশ্লীলতায়পূর্ণ এই সংস্কৃতি যৌনতা উষ্কে দেয়।কিশোর-কিশোরীদের, যুবক-যুবতীদের এমনকি বয়ষ্কদের যৌনক্ষুধাও তীব্র থেকে তীব্রতর করে তোলে। অশ্লীল বিভিন্ন ওয়েব সিরিজ, সিনেমা গুলো উপভোগ করে যে তীব্র যোনউত্তেজনার সৃষ্টি হয় তা মিটাতেই বিকৃত মস্তিষ্কের অধিকারী ধর্ষকেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরীহ অবলা নারীর উপর আর তাদের আশ্রয়দাতা হিসাবে পেয়ে যায় রাজনৈতিক ক্ষমতা। কিন্তু সব কিছুর মূলে রয়েছে ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা। বলা হয় “শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড “কিন্তু আমি কথাটির সাথে একমত নই আমি বলব “সুশিক্ষায় জাতির মেরুদন্ড।” যদিও আমি কোনো শিক্ষাবিদ নই তবুও বলব বর্তমানে শিক্ষা বলতে আমরা যা বুঝি সে শিক্ষা কোনো জাতির মেরুদন্ড কোনোভাবেই হতে পারে না। যদি হয় তবে সে জাতি মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারবে না। শিক্ষার দিক তিনটি। ১.সামাজিক মূল্যবোধ ২. মানবিক মূল্যবোধ ৩. আদর্শিক মূল্যবোধ। এই তিন প্রকার মূল্যবোধের সমন্বিত শিক্ষাই সুশিক্ষা। একমাত্র এই সুশিক্ষায় পারে কোনো একটি জাতিকে সুশৃঙ্খল, শান্তিপ্রিয়, উন্নতজাতি হিসাবে গড়ে তুলতে। শিক্ষার এই তিন দিকের কোনো একটি দিক যে জাতির শিক্ষাব্যবস্থায় অনুপস্থিত থাকবে সে জাতি কখনো সুশৃঙ্খল, মানবিকতাবোধে উজ্জীবীত, উন্নতজাতি হিসাবে গড়ে ওঠতে পারবে না। কিন্তু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় সামাজিক মূল্যবোধ এবং মানবিক মূল্যবোধের অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটলেও আদর্শিক মূল্যবোধের বড়ই আকাল। আদর্শিক মূল্যবোধ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় যা অতি অল্প ছিল আমাদের একটি তথাকথিত বুদ্ধীজীবী মহল সেটুকও অপসারণের জন্য আদাজল খেয়ে লেগেছেন। এক্ষেত্রে তারা অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলেন। কিন্তু আমি বলব, আপনি অসাম্প্রদায়িক হোন তাতে কোনো আপত্তি নেই কিন্তু সত্যকে সত্য বলে স্বীকার করুন, ভালোকে গ্রহণ করুন মন্দকে বর্জন করুন।

কথিত অসাম্প্রদায়িকতার অজুহাত দেখিয়ে অন্য একটি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করতে, তাঁদের মতাদর্শ প্রতিষ্ঠা করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকার জন্য আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত।আপনারা অসাম্প্রদায়িকতার নামে শুধুমাত্র ইসলামের বিরোধিতা করেন এবং ইসলামের যে শিক্ষা যে আদর্শ সমগ্র মানবজাতির জন্য কল্যাণকর তা আপনারা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান/অস্বীকার করেন।অথচ উচিত ছিল জনমানুষের জন্য যা কল্যাণকর তা ধর্মের কাছে পাওয়া যাক বা বিজ্ঞানের কাছে,বেদ,বাইবেল বা আল- কুরআনের কাছে দ্বিধাহীনচিত্তে তা গ্রহণ করা। কিন্তু সাম্প্রদায়িকতার অজুহাতে আমাদের বুদ্ধীজীবীমহল,শিক্ষাবিদগণ তা করেন নি। আর তার নির্মম ফল গোটা জাতি ভোগ করছে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার আদর্শিকভিত্তিহীনতার ফল জাতি আজ হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছে। আজ জাতির যারা শিক্ষিত তারাই জাতির সবচেয়ে বড় দুশমনে পরিণত হচ্ছে, দূর্নীতি, দুরাচার তাদের মাধ্যমেই মহামারীর মতো বিস্তার লাভ করছে।শিক্ষাব্যবস্থার আদর্শিক ভিত্তি না থাকায় আমাদের শিক্ষিত সম্প্রদায় যে শিক্ষা নিয়ে আমাদেরকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে চাচ্ছেন, দেশ জাতির সেবায় কাজ করতে চাচ্ছেন তা মূলত একজন অন্ধের হাতে বাতি নিয়ে তা দ্বারা অন্যকে আলোদানের অন্যকে সাহায্য করতে চেষ্টা করার শামিল। অন্ধের কাছে বাতি থাকা স্বত্ত্বেও তার দৃষ্টিশক্তি না থাকায় তার দ্বারা যেমন ক্ষতির আশংকা রয়েছে তেমনি আদর্শিক মূল্যবোধছাড়া শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষিত আমাদের বিদ্যানগণ জাতির জন্য দুর্জনে পরিণত হচ্ছেন। আমাদের বুদ্ধিজীবী মহলের এবং শিক্ষাবিদগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই জাতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবেন না। সাম্প্রদায়িকতার কল্পিত-মিথ্যা অযুহাত এনে জাতির আদর্শিক পতনকে ত্বরান্বিত করবেন না।ইউরোপ আমেরিকা বিজ্ঞানে আমাদের থেকে এগিয়ে সেজন্য বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য আমরা তাদের পরামর্শ বা অনুকরণ করতেই পারি কিন্তু তাদের থেকে সভ্যতা শেখার আমাদের কোনোই প্রয়োজন নেই।বিজ্ঞানে তারা এগিয়ে আছে বলে সভ্যতায়, সংস্কৃতিতেও তারা এগিয়ে আছে আমাদের উন্নতির জন্য তাদের অনুসরণ করতে হবে এমন ধ্যানধারণা পোষণ করা থেকে বিরত থাকুন। কথিত অসাম্প্রদািকতার দোহাই দিয়ে উন্নত আদর্শকে অবজ্ঞা করে জাতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবেন না। আদর্শিক মূল্যবোধের শিক্ষা নিঃসন্দেহে ধর্মই সরবরাহ করে থাকে এজন্য ধর্মীয় শিক্ষাকে অবজ্ঞা না করে ধর্মীয় শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করুন। শিক্ষাব্যবস্থার সর্বক্ষেত্রেই ধর্মের আদর্শিক মূল্যবোধগুলোকে ধাপে ধাপে সংযুক্ত করুন এবং গুরুত্বারোপ করুন। তাহলে অচিরেই অপরাজনীতি,অপসংস্কৃতির চর্চা বন্ধ হবে। লুটতরাজ, অর্থপাচার, দুর্নীতি, ক্ষমতালিপ্সা, খুন, ধর্ষণ গুম অচিরেই লোপ পাবে। মানুষ মানুষের দাসত্ব থেকে মুক্তি পাবে। এই বাংলা আমাদের পূর্বপুরুষগণের স্বপ্ন লালিত সেই সোনার বাংলায় পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ। যেখানে মানুষ তার মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা পাবে। যেখানে হাসপাতলের বারান্দায় যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মানুষকে মৃত্যবরণ করতে হবে না। কোনো মা বোনকে ধর্ষিতা হতে হবে না। ধর্ষকের শাস্তির দাবিত আন্দোলন করতে হবে না। যেখানে নতুন কোনো রায়হান, আবরার ফাহাদ, সিনহা রাশেদ কিংবা নতুন কোনো পিলখানা হত্যাকান্ড সংঘটিত হবে না। মানুষ পূর্ণনিরাপত্তাসহ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের মহান শাহাদাৎ অর্থবহ হয়ে উঠবে।

শিক্ষার্থী: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

82 Views

আরও পড়ুন

সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে জেলা সুজনের মানববন্ধন

ইসলামপুরে সাপধরী ইউনিয়ন বিএনপি নেতৃবৃন্দ স্বচ্ছ রাজনীতির চর্চায় ঐক্যবদ্ধ

কাপাসিয়ায় কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের বৃত্তি পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণ

কাপাসিয়ায় নবাগত লেখক ও সাংবাদিকদের সাথে সাংবাদিক ফোরামের মতবিনিময় সভা

নীলফামারীতে হবে চিন সরকারের হসপিটাল: স্বাস্থ্যের ডিজি

ঝিনাইগাতীতে কূপ খনন করতে গিয়ে নিহত দুইজনের পরিবারের পাশে বিএনপি

ঠাকুরগাঁওয়ে ব্রাইট স্টার মডেল স্কুল এন্ড কলেজের বর্ষবরণ ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

জুরীতে ২৫ নারী উদ্যোক্তাদের গবাদি পশু ও তাঁত শিল্প সামগ্রী বিতরণ

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শেরপুরের দুই ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

চট্টগ্রাম পিটিআইয়ের প্রশিক্ষণার্থীদের স্কাউটসের ওরিয়েন্টেশন কোর্স

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সহায়তায় জবি ছাত্রদলের হেল্প ডেস্ক

আজ বিশ্ব লিভার দিবস: জেনে নিন লিভার সম্পর্কে